মালয়েশিয়ায় ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নে হচ্ছে নতুন খসড়া

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:২৩ এএম, ০২ মে ২০২৩

শ্রমিকদের কল্যাণ সুরক্ষিত ও ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নে নতুন পদ্ধতি তৈরির দিকে নজর দেবে মালয়েশিয়া। একজন শ্রমিকের মাসিক ন্যূনতম মজুরি ১৫০০ রিঙ্গিত (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩৫ হাজার) তুলনামূলকভাবে কম।

১লা মে শ্রম দিবস পালন অনুষ্ঠান শেষে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী শিবকুমার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘শ্রমিক-সিভিলাইজড মালয়েশিয়ার জন্য অনুঘটকের প্ল্যাটফর্ম’।

মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই কর্মীদের মজুরি তাদের দক্ষতা এবং জ্ঞানের সঙ্গে সামঞ্জস্য হতে হবে। আশা করছি শিগগিরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণের একটি নতুন খসড়া তুলে ধরা হবে।

jagonews24

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম অনুষ্ঠানে বলেন, ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত সমাধান পেতে আগামী মাসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আলোচনা করা হবে।

তিনি বলেন, ন্যূনতম মজুরি আদেশ অঞ্চল নির্বিশেষে ১ মে, ২০২২ থেকে সমগ্র মালয়েশিয়ায় কার্যকর করা হয়েছে পাঁচ বা ততোধিক কর্মচারী আছে এমন নিয়োগকর্তাদের এবং সকল সেক্টরের জন্য ১৫০০ রিঙ্গিত। পাঁচজনের কম কর্মচারীর নিয়োগকর্তাদের জন্য, ন্যূনতম মজুরি ১৫০০ রিঙ্গিত বাস্তবায়ন চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ান ট্রেডস ইউনিয়ন কংগ্রেস এবং কংগ্রেস অব ইউনিয়ন অব এমপ্লয়িজ ইন পাবলিক অ্যান্ড সিভিল সার্ভিসেসের ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য প্রতিটি সংস্থাকে এক মিলিয়ন রিঙ্গিত করে অতিরিক্ত বরাদ্দ ঘোষণা করেন আনোয়ার।

শিবকুমার বলেন, এ বরাদ্দ উভয় সংস্থাকে মালয়েশিয়ার শ্রমিকদের অধিকারের জন্য লড়াই করতে সহায়তা করবে।

এদিকে, কংগ্রেস অফ ইউনিয়ন অফ এমপ্লয়িজ ইন পাবলিক অ্যান্ড সিভিল সার্ভিসেসের সভাপতি আদনান মাত, এক মিলিয়ন রিঙ্গিত অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

jagonews24

এমটিইউসি সভাপতি মোহম্মদ এফেন্ডি আব্দুল গনি বলেন, ন্যূনতম মজুরির বাস্তবায়ন সব পক্ষের দ্বারা পর্যালোচনা করা উচিত যেন জীবনযাত্রার বর্তমান ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এটি আরও প্রগতিশীল এবং মর্যাদাপূর্ণ হয়।

তিনি বলেন, সরকারকে অবশ্যই ন্যূনতম মজুরি বাস্তবায়নের ওপর নজরদারি করতে হবে। তিনি এক মিলিয়ন রিঙ্গিত অতিরিক্ত বরাদ্দের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

এমআরএম/জিকেএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]