মালয়েশিয়ায় আন্তর্জাতিক হালাল মেলায় বাংলাদেশি পণ্য
মালয়েশিয়ায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ‘সেলাঙ্গর ইন্টারন্যাশনাল হালাল কনভেনশন’ (সেলহাক ২০২৩)। শুক্রবার (১০ মার্চ) এই সম্মেলন ও মেলা শুরু হয়। চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত।
ফুড অ্যান্ড বেভারেজ, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং স্বাস্থ্যসেবা, হালাল উপাদান, পারসোনাল কেয়ার অ্যান্ড বিউটি, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি, মডেস্ট ফ্যাশন এই ছয় ক্যাটাগরিতে ৬৪টি বুথে ২০০ এর অধিক এক্সিবিটর মেলায় অংশ নিয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার সকালে রাজধানী কুয়ালালামপুরের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বাণিজ্য সম্মেলন ও মেলার উদ্বোধন করেন সেলাঙ্গর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইবি দাতো শ্রী আমিরুদিন বিন শারি। মেলার প্রতিপাদ্য হলো ‘সেলাঙ্গর ইন্টারন্যাশনাল হালাল গেটওয়ে’।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় ফ্ল্যাটের মালিক ৮০০০ বাংলাদেশি, আরও ৪০০০ আবেদন
এতে পৃষ্ঠপোষকতা করছে সেলাঙ্গর রাজ্য সরকার। সেলাঙ্গর স্টেট ইসলামিক এফেয়ার্স এবং হালাল ইন্টারন্যাশনাল সেলাঙ্গর মেলা আয়োজন করেছে।
সম্প্রতি সেলাঙ্গর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের সম্পদ ও বিনিয়োগ বিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘এমবিআই সেলাঙ্গরের সঙ্গে পারস্পরিক বাণিজ্য, বিশেষ করে হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাংলাদেশ এতে অংশ নেয়।
মেলায় বাংলাদেশি বুথে পণ্য প্রদর্শন করছে এগ্রোভার্স লিমিটেড। এতে সহযোগিতা করছে মৈত্রী ইনফিনিটি এসডিএন বিএইচডি।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগে ‘তৃতীয়পক্ষ’ বন্ধের নির্দেশ
মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার জানান, প্রায় ১০ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী ছাড়াও এশিয়ার অন্য দেশের অভিবাসীদের কাছেও আমাদের পণ্যের চাহিদা রয়েছে। আশা করা যায় এ মেলার মাধ্যমে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাজার আরও বাড়বে এবং হালাল বাণিজ্য সম্প্রসারণে সেলাঙ্গর রাজ্য তথা মালয়েশিয়ার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইসলামিক রিলিজিয়ন, কনজিউমারিজম এবং হালাল ইন্ডাস্ট্রির স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ জাওয়াই বিন আহমদ মুগনি।
প্রধান অতিথি ছিলেন সেলাঙ্গর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াইবি দাতো শ্রী আমিরুদিন বিন শারি। তিনি বাংলাদেশের বুথ পরিদর্শন করেন এবং বাংলাদেশি পণ্যের প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: বিদেশি কর্মী নিয়োগে শর্ত শিথিল করলো মালয়েশিয়া
এসময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) প্রণব কুমার ঘোষ তাকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্য সম্পর্কে তুলে ধরেন।
সেলাঙ্গর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সামিট সেলাঙ্গরের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ও পুন-উদ্ভাবনে সহায়তা করার জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই সুবিধা শুধুমাত্র সেলাঙ্গরের জন্য নয়, মালয়েশিয়া ও আসিয়ান বন্ধুদের জন্যও।
হালাল পণ্য এবং সেবা প্রচার, হালাল সেক্টরের সুযোগ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি এবং সেলাঙ্গর রাজ্যে হালাল শিল্পের বিকাশকে উৎসাহিত করার লক্ষে এই মেলা সহায়ক হবে বলে আশাবাদী আয়োজকরা।
মেলা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে। দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।
জেডএইচ/