ফ্রাঙ্কফুর্টে আনন্দ-উৎসবে দুর্গাপূজা উদযাপন প্রবাসীদের
জার্মানির বিভিন্ন শহরের মতো ফ্রাঙ্কফুর্টেও আনন্দ-উৎসবের মধ্যদিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে।
ফ্রাঙ্কফুর্টে জার্মান-বাংলা সনাতন কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে একটি অস্থায়ী পূজামণ্ডপে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের আয়োজন করা হয়। সেখানে বসবাসকারী সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রবাসী বাংলাদেশিরা ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সেখানে পূজার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।
মঙ্গলবার মহানবমীর দিনে ফ্রাঙ্কফুর্টের এই পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি।
পরিদর্শনকালে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সরকারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। পূজা পালনে যেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কোনো অসুবিধা না হয়, সেজন্য সরকার সজাগ রয়েছে।
এ সময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জার্মান-বাংলা সনাতন কালচারাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্বজন কুমার চক্রবর্তী এবং উপদেষ্টা আশুতোষ বণিক। দূতাবাসের প্রথম সচিব তাওহিদ ইমামসহ বিপুলসংখ্যক প্রবাসি বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন পূজামণ্ডপে।
প্রবাসি বাংলাদেশি সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানিয়েছেন, খারাপ সবকিছু দূর হয়ে বিশ্বে শান্তি নেমে আসুক এবং প্রশান্তিতে থাকুক সবাই- এমনটাই প্রার্থনা এবারের পূজায়।
সংগঠনের সভাপতি স্বজন কুমার চক্রবর্তী বলেন, দুর্গতি বিনাশ করার জন্য দেবীদুর্গার আগমন। মঙ্গলের বার্তা দিয়ে তিনি পৃথিবীকে শান্তিময় করে তুলবেন।
শনিবার শুরু হয়ে বিভিন্ন ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের মধ্যদিয়ে বুধবার পর্যন্ত চলে বাংলা ভাষাভাষী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তম এই ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা।
ফ্রাঙ্কফুর্ট ছাড়াও মিউনিখ, বার্লিন, বনসহ বিভিন্ন শহরে দুর্গাপূজা উপলক্ষে অস্থায়ী পূজামণ্ডপ তৈরি করে পূজা পালন করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের আরাধনার পাশাপাশি এসব পূজামণ্ডপ পরিণত হয়েছিল প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিলনমেলায়।
ইএ