সাবেক হাইকমিশনার খায়রুজ্জামান গ্রেফতার ‘ঢাকার অনুরোধেই’
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছে দেশটির অভিবাসন পুলিশ। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জয়নুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মালয়েশিয়ার প্রশাসনিক রাজধানী পুত্রজায়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে হামজা জয়নুদ্দিন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রক্রিয়া অনুযায়ী সাবেক এ হাইকমিশনারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাংলাদেশে সংঘটিত অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার জন্য তাকে (খায়রুজ্জামান) আটকের জন্য বাংলাদেশ অনুরোধ জানিয়েছিল।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) কুয়ালালামপুরের আম্পাং এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মালয়েশিয়ায় শরণার্থী হিসেবে বসবাস করছিলেন বাংলাদেশের সাবেক এ হাইকমিশনার।
সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোহাম্মদ খায়রুজ্জামান ১৯৭৫ সালের জেলহত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন এবং পরে খালাস পান। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে তিনি মালয়েশিয়ায় হাইকমিশনার নিযুক্ত হন।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে ঢাকায় ফিরে আসার জন্য বলা হয়। দেশে ফিরে আসা ঝুঁকি মনে করে তিনি কুয়ালালামপুর থেকে জাতিসংঘের শরণার্থী কার্ড নেন এবং সেখানেই থেকে যান।
এদিকে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে গ্রেফতার বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে শিগগির দেশে ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠিতে অভিবাসন সংক্রান্ত একটি আইন ভাঙার কথা জানিয়েছে। এটা দূতাবাস জানে, আমার এই মুহূর্তে জানা নেই। হয়তো ওভার স্টে, যে প্রক্রিয়ায় তিনি ছিলেন হয়তো সেটা এক্সপায়ার করে গেছে। কোনো আইন তিনি ভেঙেছেন, সেটার আওতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, শরণার্থী কার্ড তার আছে কি না আমি জানি না। মালয়েশিয়া সরকার বলেছে, নির্দিষ্ট করে, অভিবাসন সংক্রান্ত আইন ভাঙায় তাকে আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের অব্যাহতভাবে খুঁজি। সবসময় বলা হয় না, বলার প্রয়োজনও নেই। যদি না সেটা সফল হয়। আমরা জানতাম তিনি মালয়েশিয়ায় আছেন। মালয়েশিয়া থেকে বের হতে পারেননি বা এরকম কিছু। এ ধরনের অপরাধী বা কথিত শব্দটি যদি ব্যবহার করি, পশ্চিমা বিশ্বের কিছু দেশ যে রকম আশ্রয় দেয়। খুনিদের আশ্রয় দিয়েছে অনেক জায়গায় দেখেছেন। এ রকম সুযোগ মালয়েশিয়ায় নেই। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুত তাকে ফিরিয়ে আনতে পারবো। তারপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয় মিলে সিদ্ধান্ত নেবে মামলাটির কোন পার্যায়ে তাকে আবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অথবা মামলাটি কীভাবে পুনরুদ্ধার করা হবে।
কেএসআর/জিকেএস