‘অস্ট্রেলিয়া ডে’ উদযাপন

মো. আবুল কালাম আজাদ
মো. আবুল কালাম আজাদ মো. আবুল কালাম আজাদ , অস্ট্রেলিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৪৯ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২২
ছবি : জাগো নিউজ

উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও উদযাপন করা হয়েছে ‘অস্ট্রেলিয়া ডে’। দিবসটিকে স্মরণীয় রাখতে দেশের সব জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সিডনির পাঞ্চবোলের রাসেস রেস্টুরেন্টে নবধারা অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ২৬ জানুয়ারি ‘হ্যাপি অস্ট্রেলিয়া দিবস’ উদযাপন করা হয়েছে। এসময় জাতীয় সংগীত বাজিয়ে নাগরিকদের সম্মান জানানো হয়।

কেক কেটে দিনটিকে উদযাপন করেছে সংগঠনের সদস্যরা। আবিদা সুলতানা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কাউন্সিলর রাজ দত্ত।

jagonews24

পরে অনুষ্ঠানের আয়োজক আবুল কালাম আজাদ খোকন অস্ট্রেলিয়া দিবসের তাৎপর্য, উৎস ও ক্রমবিকাশের ধারার সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। ডিনারের পরে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয়।

এ দিবসে দেশজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সরকার, স্থানীয় কাউন্সিলর, কমিউনিটি নেতাকর্মীরা অস্ট্রেলিয়া ডে গুরুত্বের সঙ্গে উদযাপন করে থাকে। প্যারেড, সরকারি পুরস্কার, নাগরিকত্ব অনুষ্ঠান, বনভোজন, আতশবাজি এবং অস্ট্রেলিয়ান সম্প্রদায়ের নতুন সদস্যদের স্বাগত জানানোসহ নানা আয়োজন হয়ে থাকে।

বিভিন্ন পটভূমি থেকে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী সংস্কৃতির মানুষও দিনটি পালন করেন। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে লাইভ কনসার্ট, কর্মশালা, প্রবীণদের নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। রাষ্ট্রীয় বিশেষ অবদানের জন্য এই দিনটিতে ‘অস্ট্রেলিয়া অব দ্য ইয়ার’ পদক দেওয়া হয়।

১৭৭০ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের নিউ সাউথ ওয়েলসের সমুদ্র উপকূলের সিডনির বোটানি বেএর কারনেলের কাছে ব্রিটিশ নাগরিক লেফটেন্যান্ট জেমস কুক অনুসন্ধানের প্রথম দাবি করেন। ১৭৮৮ সনের ২৬ জানুয়ারি ক্যাপ্টেন আর্থার ফিলিপের নেতৃত্বে প্রথম ব্রিটিশ নৌবহর সিডনির পূর্ব সমুদ্র সৈকত কোভের পোর্ট জ্যাকসনে ভিড়ে এবং গ্রেট ব্রিটেনের পতাকা উত্তোলন করে উপনিবেশিক স্থাপনা করেন।

jagonews24

১৮১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি গভর্নর লেকলান মেকুয়ারি প্রথমে দিবসটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদযাপন করার জন্য ঘোষণা দেন। ১৮৮৮ সনে অ্যাডিলেড ছাড়া বাকি অঙ্গরাজ্যগুলো অস্ট্রেলিয়া বার্ষিকী দিবস হিসেবে পালন করা শুরু করে। আর ১৯৩৫ সালে প্রতিটি রাজ্যে সম্মিলিতভাবে ‘অস্ট্রিলিয়া ডে’ হিসেবে পালন করা শুরু হয়।

১৯৯৪ সাল থেকে প্রতিটি রাজ্যে সর্বজনীন সরকারি ছুটি ভোগ করে। এরপর ধীরে ধীরে অস্ট্রেলিয়ার দিবসের অর্থ ও তাৎপর্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিকশিত হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে অথবা ঐতিহাসিকভাবে তারিখটিকে ‘বার্ষিকী দিবস’, ‘ফাউন্ডেশন ডে’ এবং ‘এএনএ ডে’ নামেও নামকরণ করা হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ায় যদিও প্রতি বছর ২৬ জানুয়ারিকে জাতীয় দিবস বা ‘হ্যাপি অস্ট্রেলিয়া ডে’ হিসাবে উদযাপন করে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার অ্যাবরিজিনাল বা আদিবাসীরা ‘হ্যাপি অস্ট্রেলিয়া ডে’কে একটি কালো অধ্যায় বা শোকের দিন হিসাবে মনে করেন।

এমআরএম/জিকেএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]