মালয়েশিয়ায় সুপারশপ থেকে পণ্য লুট, বাংলাদেশিসহ গ্রেফতার ৩১

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০২১

মালয়েশিয়ায় কদিন আগে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যা হয়েছে। এতে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়-ক্ষতিসহ সারাদেশে প্রাণহানি ঘটেছে ১৪ জনের। টানা ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টির পানিতে দেশটির ১৩টি রাজ্যের মধ্যে ৯টি বন্যায় প্লাবিত হয়।

এসময় বন্যার পানিতে সেলাঙ্গর রাজ্যের শাহ আলম এলাকার অন্যতম চেইন সুপারশপ মাইডিন প্লাবিত হয়। বুক সমান পানিতে সুপারশপের পণ্য ভেসে যায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে একদল মানুষ মাইডিনের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭ বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ৩১ জন অভিবাসীকে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশ।

jagonews24

মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগের আপডেট নিউজ ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়েছে।

আটকদের মধ্যে বাংলাদেশের ৭, ইন্দোনেশিয়ার ১০, নেপালের ৯ ও মিয়ানমারের ৫ জন অভিবাসী রয়েছে। শাহ আলম জেলা পুলিশের প্রধান সহকারী কমিশনার বাহারুদ্দিন মাত তৈয়ব জানান, জেলা পুলিশ সদর দফতরের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (আইপিডি) তাদের গ্রেফতার করেছে। দণ্ডবিধির ৪৫৭ ধারা অনুযায়ী মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি এক বিবৃতিতে জানান।

jagonews24

তবে আটকদের দাবি, টানা ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে চারদিকে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। তাদের খাবার ফুরিয়ে গিয়েছিল এবং বন্যার কারণে আশপাশে খাবারের দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই তারা খাবারের জন্য মাইডিনে ছুটে গিয়েছিল।

মাইদিন মোহাম্মদ হোল্ডিংস বেরহাদ (মাইদিন), দাতুক উইরা-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. আমির আলী মাইদিন বলেছেন, তারা বেঁচে থাকার অজুহাতে এই কাজ করেছে।

jagonews24

পুলিশ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় চুরি বা লুটতরাজ করার কোনো সুযোগ নেই। যদি এই ধরনের কর্মকাণ্ড কেউ করে থাকে তাহলে দেশের প্রচলিত আইনে বিচার করা হবে।

এর আগে, এই ঘটনার সমন্বিত একটি ১১ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই ঘটনা এমন ব্যক্তিদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, যারা মারাত্মক বন্যার কারণে খাদ্য সরবরাহ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে বেশ কয়েকটি দোকানে প্রবেশ করতে বাধ্য হয়েছিল।

এমআরএম/জিকেএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]