মিউনিখ ম্যারাথনে লাল-সবুজের পতাকা ওড়ালেন শিব শংকর
জার্মানিতে ১৯তম মিউনিখ আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি শিব শংকর পাল। প্রায় ১১ হাজার প্রতিযোগীর সঙ্গে লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে দৌড়েছেন তিনি।
এটি তার ব্যক্তিগত ১১২ নম্বর আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে অংশ নেওয়া। শিব শংকর পালের সঙ্গে এবার দূরপাল্লার ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন তার জ্যেষ্ঠ পুত্র মাক্সি শংকর পাল। আর তার কনিষ্ঠ পুত্র দিব্য শংকর পাল অংশ নিয়েছেন স্বল্প পাল্লার ম্যারাথনে (১০ কি.মি.)।
রোববার (১০ অক্টোবর) মিউনিখে ঐতিহাসিক এই ম্যারাথন হয়। যা দেখতে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে জড়ো হয়েছিলেন হাজার হাজার দর্শনার্থী।
মিউনিখ শহরের অলিম্পিক স্টেডিয়াম থেকে শুরু হয়ে ৪২ দশমিক ২ কিলোমিটার দূরত্বের এই ম্যারাথন বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক স্থান ঘুরে আবার অলিম্পিক স্টেডিয়ামে এসে শেষ হয়।
এর মধ্যে ৪২ দশমিক ২ কিলোমিটার দীর্ঘ পথ দৌড়িয়ে শেষ করতে শিব শংকর পালের সময় লেগেছে ৩ ঘণ্টা ৪৯ মিনিট ৫ সেকেন্ড।
এর আগে ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েলের তেল আবিবে আন্তর্জাতিক ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছিলেন শিব শংকর পাল। এছাড়াও নেপালের হিমালয় পাহাড়ে অনুষ্ঠিত পৃথিবীর কঠিনতম ম্যারাথন ‘এভারেস্ট ম্যারাথনে’ও বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে দৌড়িয়েছেন তিনি। এর আগে আন্তর্জাতিক এই দৌড়বিদ ২০১৮ সালের নভেম্বরে নিউইয়র্কে ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারের ১০০তম ম্যারাথনে অংশ নেন।
৫৬ বছর বয়সী শিব শংকর পাল জার্মানির মিউনিখ শহরের একজন সফল ব্যবসায়ী হলেও তার অদম্য শখ বিশ্বের বড় বড় ম্যারাথনে বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা নিয়ে দৌড়ানো।
বাংলাদেশের নবাবগঞ্জে জন্মগ্রহণ করা শিব শংকর পাল ১৯৮৯ সালে জার্মানিতে পাড়ি জমান। ১৯৯৯ সালে মিউনিখে পাল ইলেক্ট্রনিকস নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তিনি মিউনিখ শহর কর্তৃপক্ষ থেকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে পুরস্কার পান। ২০১৯ সালে জার্মানির বিখ্যাত টিভি চ্যানেল ‘জেডডিএফ’ শিব শংকর পালের সফলতা নিয়ে বিশেষ ডকুমেন্টারি প্রচার করে।
জেডএইচ/