পর্তুগালে যুবলীগের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন
পর্তুগাল আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমিত পরিসরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়।
অনুপম মেহেদী অনুর সভাপতিত্বে ও তানভীর আলম জনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল আলম জসিম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহাবুব আলম, উপদেষ্টা পর্তুগাল আওয়ামী লীগ, মিজানুর রহমান মোল্লা, সহ-সভাপতি পর্তুগাল আওয়ামী লীগ, দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পর্তুগাল আওয়ামী লীগ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আগত অতিথিরা ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা মিলে বাংলাদেশের পতাকা খচিত দৃষ্টিনন্দন কেক কেটে মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেন। পরবর্তীতে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন। বক্তারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা স্মরণ করেন। শ্রদ্ধা জানান জাতির সূর্য সন্তানদের যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের মহান স্বাধীনতা।
সুবর্ণজয়ন্তীর এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালে নবগঠিত পর্তুগাল বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রনি মোহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক মো. রাসেল আহাম্মেদ, সহ-সভাপতি জহুরুল মুন, সহ-সভাপতি এফ আই রনি, প্রচার সম্পাদক এনামুল হক ও এনটিভি ইউরোপের পর্তুগাল প্রতিনিধি বেলাল আহমেদসহ অন্যান্য সাংবাদকর্মীরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল আলম জসিম বলেন, ‘একটি দল এককভাবে কেউ চালাতে পারেন না, দলের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীর পরিশ্রমের সম্মিলনেই একটি শক্তিশালী সংগঠন গড়ে ওঠে।’ পর্তুগালে যুবলীগের কমিটি না থাকা সত্ত্বেও দেশে সক্রিয় রাজনীতি করা সাবেক ছাত্রনেতাদের নিয়ে সুসংঘটিত হয়ে এত সুন্দর আয়োজন করায় যুবলীগ নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাহাবুব আলম বলেন, ‘শুধু সুসময় নয়, অতীতের যে কোনো দুঃসময়ের ন্যায় আওয়ামী লীগ সবসময় আপনাদের পাশে থাকবে।’
বিশেষ অতিথি মিজানুর রহমান মোল্লা যুবলীগের সার্বিক সফলতা কামনা করেন। বিশেষ অতিথি দেলোয়ার হোসেন বলেন ‘আমাদের সর্বোচ্চ অর্জন হলো বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।’
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন- পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সহ-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান, সোহেল খান, মো. শাহজালাল ও আহসান উল্লাহ সরকার।
অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী যুবলীগ নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন যুবলীগ নেতা রফিক বাবুল, সাবেক ছাত্রনেতা ফারুক হোসেন মানিক ও সাবেক ছাত্রনেতা খন্দকার ইউনুস ফাহাদ। বক্তব্যে সবাই একটি শক্তিশালী যুবলীগ গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা মো. সাইদ আহমেদ, সামিউল কাউসার, মো. জুয়েল রানা প্রধান, মাহাদী হাসান সুমন, জাহিদ হোসেন, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, জাহিদ হাসান, মো. শামস, আহসান কবির, কাউসার আলম, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, সালেহ আহমেদ রাজু, ফারুক শিকদার, এইচ এম সাচ্চুসহ আরও অনেকে।
এমআরএম/এমকেএইচ