স্টকহোমে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন
যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালন করেছে স্টকহোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। করোনাকালে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় গতকাল অনলাইনে জুম প্লাটফর্মে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ও স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। শুরুতে ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ও অনলাইনে অংশগ্রহণকারী অতিথিদের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করেন দূতাবাস কর্মকর্তারা। এরপর বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের ওপর নির্মিত একটি বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করে উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বাঙালি জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের আরেকটি আলোকিত অধ্যায়। সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে এই দিনেই পরিপূর্ণ বিজয় অর্জন করে বাঙালি। জাতির পিতার ত্যাগ এবং মহত্বের আদর্শকে ধারণ করে নতুন প্রজন্মকে কাজ করে যাওয়ার জন্য বক্তারা আহ্বান জানান।
দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম জাতির জনকের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন সদ্য স্বাধীন বাঙালি জাতির কাছে ছিল একটি বড় প্রেরণা। তার অসামান্য নেতৃত্বে অতি অল্প সময়ের মধ্যেই একটি গর্বিত জাতি হিসেবে স্বতন্ত্র পরিচয়ে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর যে সম্মান বাঙালি পেয়েছে, তার জন্য বাঙালি জাতি তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ ও চিরঋণী।
রাষ্ট্রদূত জানান, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে বছরব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে দূতাবাস। অনুষ্ঠানগুলো সার্থক ও সফল করার জন্য তিনি সুইডেন প্রবাসী সব বাংলাদেশির ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে উপস্থিত অতিথিরা এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি করা হয়। পরিশেষে কোভিডকালীন সকলের সুস্থতা ও নিরাপত্তা কামনা করে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করা হয়।
আমরিন জাহান/এমআরএম/এমকেএইচ