সুইডেনে গড়ে উঠছে বাংলাদেশিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান
সুইডেনের আয়তন ৪,৫০,২৯৫ বর্গকিলোমিটার। এটি ইউরোপের তৃতীয় সর্ববৃহৎ দেশ। মাত্র ৯৫ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে ইউরোপের অন্যতম কম জনসংখ্যার দেশটিতে প্রতিবর্গ কিলোমিটারে মাত্র ২১ জন মানুষ বসবাস করে। দেশটির জনসংখ্যার প্রায় ৮৫ শতাংশ শহরকেন্দ্রিক এবং দেশের দক্ষিণপ্রান্তে অবস্থিত শহরে বসবাস করে। সুইডেনের সর্ববৃহৎ শহর এবং রাজধানী হলো স্টকহোম।
মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। আর তাই উন্নত জীবন আর ভালো উপার্জনের আশায় ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি পাড়ি দিচ্ছেন উত্তর ইউরোপের দেশ সুইডেনে।
চাকরির পাশাপাশি প্রবাসীরা নিজেদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে তুলছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। জানা গেছে, অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ সুইডেন। ইউরোপের অন্যান্য দেশে নাগরিকত্ব পাওয়া ছাড়াও স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি নিয়ে যে কেউ বসবাস করতে পারেন দেশটিতে।
তবে বসবাসের অনুমতির জন্য দরকার চাকরি বা নিজের ব্যবসা। অন্যান্য দেশ থেকে আসা প্রবাসীরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশাপাশি অনেকেই খুলেছেন নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানও হয়েছে অনেক বাংলাদেশির।
এ বিষয়ে এক বাংলাদেশি বলেন, নতুন যারা এখানে আসবে, তারা খুব সহজেই কাজ করতে পারবেন। এখানের অফিসগুলো তাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে। ব্যবসা করতে চাইলে লাইন্সেস ও অনুমতি খুব সহজেই নেয়া যাবে।
ইউরোপের বাহিরে থেকে সুইডেন ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা আগামী ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ফ্যামিলি ভিসা ও শিক্ষার্থীদের প্রবেশে কোনো বাধা নেই।
আধুনিক চিকিৎসা, শিক্ষা ব্যবস্থা ও ব্যবসায়িক নিরাপত্তার কারণে ইউরোপের অন্যান্য দেশে বসবাস করা প্রবাসীদের অন্যতম পছন্দের দেশ সুইডেন। এখানকার প্রবাসীদের গড়ে ওঠা ব্যবসা বাণিজ্যে সৃষ্টি হয়েছে অনেক কর্মসংস্থান। যা বিদেশে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থান ছাড়াও দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহে ভূমিকা রাখছে।
এমআরএম/এমকেএইচ