ভারতে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করানো ৯ বাংলাদেশি তরুণী উদ্ধার

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:৫০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

যৌন ব্যবসায় বাধ্য করানোর বড় একটি চক্রের খোঁজ পেয়েছে ভারতের পুলিশ। এ চক্রটি চাকরির লোভ দেখিয়ে তাদের হাত করত। চক্রটিকে ধরতে গিয়ে একদিনে ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ জনই বাংলাদেশি। পশ্চিমবঙ্গের উঠতি এক মডেলের দেওয়া তথ্যসূত্রে সম্প্রতি চক্রটির সন্ধান পায় ভারতের পুলিশ।

দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, চক্রটি অল্প বয়সী মেয়েদের ইন্দোরের বিজয় নগর এলাকার একটি হোটেলে আটকে রেখেছিল। জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের ওই মডেল সম্প্রতি মুম্বাইয়ের আরেক মডেলের সঙ্গে একটি ইভেন্টে অংশ নেন।

ইভেন্টের নারী ম্যানেজারের প্রস্তাবে কাজ করতে গিয়ে তারা ফাঁদে পড়েন। দু’জনকে মারধর করে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করানো হয়। পরে তারা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে থানায় আশ্রয় নেন। উদ্ধার হওয়া ১৩ জনের বয়স ১৬ থেকে ৩০।

গ্রেফতার হওয়া সাত পুরুষের মধ্যে তিনজনের নাম জানা গেছে, তারা হলেন-নবীন সিসোদিয়া, কুলদীপ চন্দ্রস্বামী ও রাজেন্দ্র দাওয়ার। এর আগে ১২ সেপ্টেম্বর একইভাবে গুজরাট রাজ্যের সুরত এলাকার একটি স্পা সেন্টার থেকে ১৪ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। খুলনা থেকে পাচার হওয়া মেয়েটি চারবার বিক্রি হয়।

এদিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের সময় চারজনকে আটক করেছে বিজিবি। সোমবার রাতে মহেশপুর উপজেলার শ্রীনাথপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলো- চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকার জুয়েল দাশ, সনজিত দাশ, রামসাগর দাশ ও ভোলার বোরহান উদ্দিন উপজেলার হাসাননগর এলাকার কৃষ্ণ দাশ।

৫৮ বিজিবির অতিরিক্ত পরিচালক মোহাম্মাদ মেহেদী হাসান খান স্বাক্ষরিত পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মহেশপুরের সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবৈধভাবে কিছু ব্যক্তি বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছে এমন খবরে অভিযান চালানো হয়।

এ সময় চারজনকে আটক করা হয়। তাদের বাড়ি চট্টগ্রাম ও ভোলায়। এ ঘটনায় মহেশপুর থানায় মামলা হয়েছে।

এমআরএম/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]