বাইরে থেকে দক্ষ স্বাস্থ্যসেবা কর্মী আনতে চায় জার্মানি

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:২৩ পিএম, ১৮ আগস্ট ২০২০

শুধু করোনাভাইরাসের কারণে নয়, আগে থেকেই জার্মানিতে স্বাস্থ্যসেবাকর্মীর অভাব রয়েছে। জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিদেশি সেবাকর্মীর মাধ্যমে সে অভাব পূরণ করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু বর্তমান সময়ে সেসব পরিকল্পনার বেশিরভাগই স্থগিত রয়েছে।

করোনা সংকটের আগেও স্বাস্থ্যসেবা খাতে দক্ষ কর্মীর অভাব ছিল আর এ সমস্যা মোকাবিলা করাই ছিল জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন্স স্পাহনের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, পুরো স্বাস্থ্যসেবা খাতে প্রায় ৫০ হাজার স্বাস্থ্য সেবাকর্মীর পদ খালি। জার্মান স্বাস্থ্য কাউন্সিলের হিসেব অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে তা বেড়ে তিন লাখ পর্যন্ত হতে পারে।

সমস্যাটি পুরনো বলে কেন্দ্রীয় বিদেশি এবং বিশেষজ্ঞ প্লেসমেন্ট বা জেডএভি এর সাথে ফেডারেল এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সির ২০১৩ সাল থেকে ট্রিপল উইন নামে একটি প্রোগ্রাম চলছে। এই প্রোগ্রামটিতে বিশেষজ্ঞ সেবাকর্মীরা বিদেশ থেকে নিয়োগ পেতে পারে।

এই বিষয়ে জার্মান স্বাস্থ্যমন্ত্রী ২০১৯ সালে প্রথমে কসোভো এবং পরে মেক্সিকো ভ্রমণ করেন এবং তার পরপরই তিনি বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ সহজ করতে স্বাস্থ্য ও নার্সিং পেশায় দক্ষ কর্মীর জন্য জার্মান বিশেষজ্ঞ কর্মী সংস্থা (ডিএফএ) প্রতিষ্ঠা করেছেন। করোনার কারণে এখন প্রায় সবকিছু স্থগিত রয়েছে। মেক্সিকো এবং ফিলিপিন্সের সাথে ডিএফএ-এর এক হাজার তিনশো দক্ষ সেবাকর্মীর জন্য চুক্তি হয়েছে বলে ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক প্রশ্নের জবাবে জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

২৯ বছর বয়সী এক দক্ষ মেক্সিকান সেবাকর্মী পেরেজ ভিক্টোরিয়ানো রয়েছেন বার্লিনের চ্যারিটি হাসপাতালে। তিনি জানান, বিদেশি হওয়ার কারণে ভাষা সমস্যা ছাড়া আর কোনো সমস্যা হয়নি তার। তিনি মোট হাসপাতালের ১৪৭টি ওয়ার্ডে ইনফেকশন ও ফুসফুসের রোগীদের সেবা করেন। পেরেজের মতে, সেবার কাজটি নিঃসন্দেহে স্ট্রেসফুল হলেও জার্মানিতে কর্মী সুরক্ষা আইন থাকায় তেমন কোনো অসুবিধা নেই।

সারব্রুকেন ক্লিনিকের পরিচালক, টমাস হেসে বলেন, জার্মানিতে আরও বেশি সেবাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং পাশাপাশি বিদেশ থেকেও দক্ষ কর্মী আনতে হবে। মেক্সিকো থেকে গত মে মাসে ৩৮ জন নার্সের জার্মানিতে আসার কথা ছিল। এখন তারা জার্মান ভাষা শিখছে, ভাষা পরীক্ষায় পাস করার পর অক্টোবর নাগাদ আসতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এমআরএম/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]