জার্মানিতে ধমক খেতে পারেন যেসব কারণে

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:০৫ পিএম, ২৮ জুন ২০২০

নিয়ম-কানুন মানার ব্যাপারে জার্মানরা বেশ কড়াকড়ি। প্রায় সবকিছুর জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলাটা একধরনের অভ্যাস, ভুল ধরিয়ে দেয়াটাও। ফলে অজানা কোনো নিয়ম না মানার কারণে রাস্তাঘাটে ধমক খাওয়াটাও অস্বাভাবিক নয়।

jagonews24

সাইকেল-হাঁটার আলাদা পথ

জার্মানিতে বেশিরভাগ রাস্তায় গাড়ি, সাইকেল ও পথচারীদের চলাচলে আলাদা জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে উল্টা-পাল্টা হলেই বিপদ। হাঁটার রাস্তায় কেউ না থাকলেও আপনি সাইকেল চালাতে পারবেন না। আবার সাইকেলের রাস্তায় হাঁটতে থাকলে কেউ কোনো ধরনের হর্ন না দিয়েই আপনাকে শিক্ষা দেয়ার জন্য ধাক্কাও দিয়ে দিতে পারে।

jagonews24

কুকুরের মল

জার্মানিতে পোষা প্রাণী হিসেবে জনপ্রিয় কুকুর। নানা প্রজাতির কুকুর হাতে জার্মানদের রাস্তায় হাঁটতে দেখা যায়। কুকুর পালনের জন্য বাসস্থান, সেবা করার যোগ্যতা, স্বাস্থ্যবিমা ইত্যাদি নিশ্চিত করতে হবে। রাস্তায় বা অন্য কোনো স্থানে যদি আপনার কুকুর মলত্যাগ করে, সঙ্গে সঙ্গে তা নির্দিষ্ট পলিথিনে তুলে নিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে আপনাকে ফেলতে হবে। তা না করলে জরিমানার সুযোগ তো থাকছেই।

jagonews24

শিশুদের জন্য উদাহরণ

এমনিতে জার্মানরা আইন-কানুন মেনে চললেও রাস্তা পার হওয়ার সময় গাড়ি না থাকলে প্রায়ই সিগনাল ছাড়াই দৌড় দিতে দেখা যায় তাদের। কিন্তু আশপাশে যদি কোনো শিশু থাকে, তাহলে এমন করাটা বেশ বাজে দৃষ্টিতে দেখা হয়। অধিকাংশ জার্মানই নিজের সন্তানকে নিয়ে বাইরে বের হন নানা কিছু নিজের চোখে দেখে শেখার জন্য। নিজের শিশু সন্তানকে নিশ্চয়ই আপনি লাল বাতি জ্বলার মধ্যে দৌড় দেয়া শেখাতে চাইবেন না।

jagonews24

সময় মেনে চলুন

জার্মানরা প্রচণ্ড নিয়মানুবর্তী। তবে নিজেরা সময় মেনে চলায় তাদের যেমন আগ্রহ, কেউ সময় না মানলে তাকে এ ব্যাপারে উপদেশ দেয়ায় তারা আরো বেশি আগ্রহ পান। জার্মানিতে একটা প্রবাদও রয়েছে এ নিয়ে। সময়মতো আসা মানে ঠিক সময়ে আসা না, বরং সময়ের কয়েক মিনিট আগে আসা।

jagonews24

সঠিক বিনে সঠিক আবর্জনা

জার্মানিতে প্লাস্টিক, পচনশীল বর্জ্য, কাগজ, কাঁচ, এমনকি কাপড় ফেলার জন্যও আলাদা আলাদা বিনের ব্যবস্থা রয়েছে। এসব বিন নির্দিষ্ট রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা থাকে। পরিবেশের ব্যাপারে অধিকাংশ জার্মানই বেশ সচেতন। আর এসব বিনে আলাদা বর্জ্য ফেলার উদ্দেশ্য হলো, পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি কমানো। ফলে তারপরও এক ধরনের বর্জ্য অন্য ধরনের বিনে ফেললে একটু বকা শুনতে হতেই পারে। ডিডাব্লিউ

এমআরএম/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]