বাংলাদেশিদের সেবায় বাহরাইনে ‘প্রবাস বন্ধু কলসেন্টার’ চালু
বাহরাইনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শের জন্য চালু হলো ‘প্রবাস বন্ধু কলসেন্টার’। বুধবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কল সেন্টারের উদ্বোধন করেন।
এ সময় ড. মোমেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, বাহরাইনে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দেশে ফেরত না পাঠানোর এবং দেশটিতে কেউ অবৈধ থাকলে তাদের বৈধতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।
প্রবাসীরা বাংলাদেশের সম্পদ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঘরে বসে নির্বিঘ্নে চিকিসকদের কাছ থেকে সেবা নিতে পারবেন। অন্যান্য দেশেও এ সেবা চালু করা হবে।
ড. মোমেন বলেন, বর্তমানে আধুনিক প্রযুক্তি আমাদের জীবনকে আরও উন্নত করছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত বর্তমান পরিস্থিতিকে আলোচনা ও যোগাযোগ রক্ষা করতে অত্যন্ত সহায়ক হচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের সক্রিয় প্রচেষ্টায়। তারা ২০০৯ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সুদূরপ্রসারী চিন্তা করেছিলেন বলেই আমরা এ সুবিধা পাচ্ছি।
দেশটির বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত ড. মো. নজরুল ইসলাম জানান, বাহরাইনের জনসংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ হলেও সেদেশে প্রবাসী বাংলাদেশি আছে প্রায় ২ লাখ। ইতোমধ্যে বাহরাইনে অবস্থানরত ১২ জন চিকিৎসক স্বেচ্ছায় এ সেবা প্রদানের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন। বাংলাদেশ থেকে ১০ জন চিকিসক এ কল সেন্টারে সার্বিক সহযোগিতা করবেন।
বাহরাইনে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদশিরা সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা এ চিকিৎসা সেবা নিতে পারবেন। সেদেশে অবস্থানকারী যেকোন প্রবাসী নিচের নম্বরে ফোন করে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ নিতে পারবেন।
হান্টিং নম্বর +৮৮০৯৬১১৯৯৯১১১,
ইমো নম্বর: ০১৪০০৬১১৯৯৫, ০১৪০০৬১১৯৯৬, ০১৪০০৬১১৯৯৭, ০১৪০০৬১১৯৯৮, ০১৯৫৮১০৫০২০
হোয়াটস অ্যাপ নম্বর: ০১৪০০৬১১৯৯৭, ০১৪০০৬১১৯৯৮
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও পরামর্শ বাংলাদেশ সরকারের corona.gov.bd ওয়েবসাইট থেকেও প্রবাসীরা পাবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান বিভাগের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
জেপি/এমআরএম