যেসব দেশ ভ্রমণে কড়াকড়ি করল সিঙ্গাপুর
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে বাঁচতে ১৬ মার্চ থেকে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান, ইতালি, ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেন, জাপান, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে সিঙ্গাপুর। এসব দেশ থেকে ভ্রমণ শেষে সিঙ্গাপুরে ফিরলে তাকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
এ ছাড়া কড়াকড়ি আরোপ করা আসিয়ান দেশসমূহ হলো- ব্রুনাই, লাওস, মিয়ানমার, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড। তবে মালয়েশিয়া এই নির্দেশনার অন্তর্ভুক্ত হবে না। এসব দেশ থেকে সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ কিংবা ট্রানজিট করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
আরও কয়েকটি দেশ থেকে সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ কিংবা চাকরির সুবাদে আসা যাবে তবে তাকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন থাকতে হবে। দেশসমূহ হলো- জাপান, সুইজারল্যান্ড, ইংল্যান্ড এবং আসিয়ান দেশসমূহ। তবে মালয়েশিয়া এই নিয়মের অন্তর্ভুক্ত হবে না।
এ ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে যারা সিঙ্গাপুরে আসবেন তাদের সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। যাদের জ্বর, সর্দি থাকবে তাদেরকে বাধ্যতামূলক ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যদি করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ দেখা না যায় তাহলে তারা সরাসরি সিঙ্গাপুরে প্রবেশ করতে পারবেন এবং কর্মক্ষেত্রে যোগদানে কোনো বাধা থাকবে না।
তবে কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় কোথাও যাওয়া যাবে না। এর মধ্যে চিকিৎসকরা এসে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর এই যে, বাংলাদেশের জন্য সিঙ্গাপুর সরকার এখনও কোনো নির্দেশনা জারি করেনি। তাই যারা সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে যেতে চাচ্ছেন কিংবা বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরে আসতে চাচ্ছেন তারা নির্ভয়ে আসতে পারেন।
বর্তমান বিশ্বে এখন এক আতঙ্কের নাম করোনাভাইরাস। বিশ্বের ১৫২টি দেশ ও অঞ্চলে করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। এখন পর্যন্ত বিশ্বে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৬৮ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে মারা গেছে ৫ হাজার ৮৩৬ জন।
করোনায় আক্রান্ত ৭৫ হাজার ৯২২ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছে। শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮২৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৯৯ জনের। সেখানে নতুন করে আর কারো আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে নতুন করে আরও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
চীনের পর সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ইতালিতে। সেখানে এখন পর্যন্ত ২১ হাজার ১৫৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১ হাজার ৪৪১ জন।
এমআরএম/এমকেএইচ