মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে অভিবাসী দিবস উদযাপন
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত এবং জাতির জনক, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং প্রবাসীদের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
কাউন্সেলর শ্রম দ্বিতীয় মো. হেদায়েতুল ইসলাম মণ্ডলের সঞ্চালনায় শুক্রবার অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি অভিবাসীরা অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন ডিফেন্স এডভাইজার কমোডর মুশতাক আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন ডেপুটি হাইকমিশনার ওয়াহিদা আহমেদ, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন শ্রম কাউন্সেলর মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কাউন্সেলর (পাসপোর্ট ও ভিসা) মো. মশিউর রহমান তালুকদার, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিবের বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব (কনস্যুলার) মোহাম্মদ মাসুদ হোসেন।
সমবেত প্রবাসীদের উদ্দেশে হাইকমিশনার বলেন, আপনারা পরিবার পরিজন রেখে এই প্রবাসে কাজ করছেন। আপনাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা, অসুবিধা ও সমস্যা সমাধানের জন্য হাইকমিশন কাজ করছে। সরকার প্রবাসীদের জন্য আলাদা সার্ভিস ভবন দিয়েছে, হাইকমিশন থেকে গিয়ে মোবাইল টিমের মাধ্যমে পেনাং ও জহুর বারু, ক্যামেরুন হাইল্যান্ড ও ক্লাং এ সেবা দিচ্ছে। সরকার প্রবাসীদের কল্যাণ করছে, প্রবাসীর পরিবারের জন্যও কল্যাণের ব্যবস্থা করেছে। জমি সম্পদ বিক্রি না করে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বিদেশে যাওয়ার জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক করেছে। দেশে ফিরে গিয়ে এই ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে নিজেই ব্যবসা করতে পারবেন।
বৈধ পথে দেশে অর্থ প্রেরণের আহ্বান জানিয়ে শহীদুল ইসলাম বলেন, বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর জন্য সরকার ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে। তিনি সরাসরি দূতাবাস থেকে সেবা গ্রহণ এবং যে কোনো প্রয়োজনে সরাসরি দূতাবাসে ফোন, হোয়াটস অ্যাপ , ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জার ইত্যাদির মাধ্যমে যোগাযোগের পরামর্শ দেন।
পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলের জন্য নিয়ম মেনে কাজ করার অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সম্মান বৃদ্ধি পেলে আমরা প্রবাসে সম্মানের সঙ্গে ভালো থাকব।
তিনি বলেন, যারা অধিক জরিমানা, শাস্তি ও বেত্রাঘাতের ভয়ে ইমিগ্রেশন হয়ে দেশে ফেরত যেতে পারছিলেন না বা অতিরিক্ত অর্থ খরচ হতো তাদের জন্য জেল জরিমানা ছাড়া সহজ শর্তে দেশে ফিরে যাবার জন্য ব্যাক ফর গুড কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ সরকার অতিরিক্ত ফ্লাইট দিয়েছে এবং টিকিট প্রতি ১২ হাজার টাকা করে ভর্তুকি দিয়েছে।
জেএইচ/এমকেএইচ
