প্রবাসী শিপনের ‘মাইগ্রেন্ট লাইফ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
লেখক ও সাংবাদিক ওমর ফারুকী শিপন প্রবাসীদের জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা নিয়ে ‘মাইগ্রেন্ট লাইফ, স্টোরিস অব রিভারিস্ট’ নামে একটি বই প্রকাশ করেছেন। ১৫ ডিসেম্বর দেশটির পেঞ্জুরু রিক্রিয়েশন সেন্টারে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসে আনুষ্ঠানিকভাবে মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স সিঙ্গাপুর।’ আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদযাপন ও নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ হাইকমিশনের শ্রম ও কল্যাণ কাউন্সিলর মোহাম্মদ আতাউর রহমান, সামা সামার কো-ফাউন্ডার কারি তামুরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিপন বলেন, ‘বইয়ের বাংলা নাম প্রবাস জীবন; দিবা স্বপ্নকারদের গল্প। এমন নামকরণের পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। প্রতিটি মানুষই সুন্দর জীবনের স্বপ্ন দেখে। আর এই স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলে অবিরাম। প্রবাসীরা সুন্দর একটি স্বপ্ন লালন করেন। তারা স্বপ্ন দেখেন পরিবারের সবার মুখে হাসি। এই স্বপ্নের পেছনে ছুটে তারা হাসিমুখে সবকিছু মেনে নেয়।
তিনি বলেন, কিন্তু খুব পরিতাপের বিষয় বেশিরভাগ প্রবাসীর স্বপ্ন অধরাই রয়ে যায়। তবুও তারা থেমে নেই। স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলেছে অবিরাম। আমি সেই স্বপ্নবাজ প্রবাসীদের নিয়েই এই বইটি লিখেছি। বইটিতে মোট ২০টি গল্প স্থান পেয়েছে। গল্পগুলো পড়লে মনে হবে এ যেন আমার গল্প, আসলে কিন্তু তা নয়। আমি দীর্ঘ ৯ বছর প্রবাসীদের সাথে থেকেছি, জেনেছিও। আমি তাদের কষ্ট, ত্যাগ, ভালোবাসা খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করতে পেরেছি।
প্রবাসী এ লেখক বলেন, তাদের সেই কষ্টগুলো উপলব্ধি থেকে বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনার অবলম্বনে গল্পগুলো লিখেছি। বইয়ের প্রথম গল্প পিতাকে নিয়ে। ঈদের দিন একজন প্রবাসী নামাজ পড়তে যাবে ঠিক তখন সে পিতার মৃত্যু সংবাদ শুনতে পায়। তখন তার কষ্টে আমি কষ্ট পেয়েছি। আরেকজন প্রবাসী গভীর রাতে মায়ের মৃত্যু সংবাদ শুনতে পায়। মায়ের মৃত্যু সংবাদ তার সবকিছু এলোমেলো করে দেয়।
তিনি বলেন, একজন ক্লান্ত শরীরে যখন বাসায় ফেরে তখন শুনতে পায় সে সন্তানের পিতা হয়েছে। পিতা হওয়ার সংবাদে প্রবাসী পিতার আনন্দ আমার মন ছুঁয়ে যায়। এই যে প্রবাসে হঠাৎ মৃত্যু সংবাদ, পিতা হওয়ার আনন্দ এই অনুভূতিগুলো খুব কাছ থেকে উপলব্ধি করেছি আর সেই থেকেই গল্পগুলো লিখেছি।
আমি কাউকে হেয়প্রতিপন্ন বা আঘাত করার জন্য গল্পগুলি লিখিনি। প্রবাসীদের কষ্ট, ত্যাগ, ভালোবাসা, আবেগ সবার সাথে শেয়ার করতে পেরে আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি।
এমআরএম