আমিরাতে হিন্দু মহাজোটের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট বৈদেশিক শাখা সংযুক্ত আরব আমিরাতের কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) রাজধানী আবুধাবির মদিনা জায়েদ লুলু হাইপার মার্কেট পার্টি হলরুমে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে বৈদেশিক শাখার আহ্বায়ক বাবু রুপেশ দাসের সভাপতিত্বে সজল চৌধুরী ও পুলক চৌধুরীর যৌথ পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ সমিতি ফুজিরা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী তপন সরকার।
প্রধান বক্তা ছিলেন প্রকৌশলী সুবোধ চৌধুরী শিবু। অনুষ্ঠানে মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন আল আইন মরুতীর্থ প্রবাসী গীতা সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জগদীশ্বরানন্দ পুরি মহারাজ। আমিরাত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। শুরুতে গীতা পাঠ করেন রাজুপাল, উক্ত সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, হিন্দু মহাজোটের সদস্য সচিব সঞ্জয় শীল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসকে দাস কাঞ্চন, মৃণাল কান্তি ধর, কানুরাম দাস, কিশোর চক্রবর্তী, সনজিৎ মহাজন, শিবলু দাস, সাংবাদিক সঞ্জীত কুমার শীল, সুবীর কান্তি দে বিটন, সুজন শর্মা, সজল চৌধুরী, সনজিৎ মহাজন, রাখাল শীল, জগদীশ শীল অপু দাস, প্রসেনজিৎ শীল, পরিমল দাস পার্থ, দিলীপ দাস ও রাজীব কান্তি শীলসহ আরও অনেকে।
‘যত মত তত পথ হিন্দু স্বার্থে একমত’ স্লোগান দিয়ে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে নির্যাতিত সনাতনীদের পাশে দাঁড়ানো এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য। জাতীয় হিন্দু মহাজোট সরকারের নিবন্ধিত সংগঠন। এই সংগঠনের মাধ্যমে প্রবাস থেকে নির্যাতিত-নিপীড়িত সনাতনীদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি তাদেরকে সহায়তা করা, বাল্যবিবাহ বন্ধ করা, ঘরে ঘরে ধর্মীয় গীতা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা, মানবজাতির কল্যাণে কাজ করা, সরকারের সাথে সহযোগিতা করা, হিন্দুদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা এমনকি নির্যাতনের বন্ধ করার জন্য সরকার এবং বিরোধীদলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন, টিটন দাস, সুমন মণ্ডল, গোবিন্দ দেবনাথ, প্রিয়তোষ। অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন শিপন সিকদার সুমনের দল।
সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার তপন সরকারকে সভাপতি, রূপক দাশকে নির্বাহী সভাপতি, সঞ্জয় শীলকে সাধারণ সম্পাদক, সঞ্জিত কুমার শীলকে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোতোষ শীল অর্থ সম্পাদক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে বিশ্বের শান্তি কামনায় প্রার্থনা ও রাতের খাবারের আয়োজন করা হয়।
এমএসএইচ