বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে পড়েছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে

হাবিবুল্লাহ আল বাহার
হাবিবুল্লাহ আল বাহার হাবিবুল্লাহ আল বাহার
প্রকাশিত: ০৫:১৬ এএম, ২০ আগস্ট ২০১৯

জার্মানিতে যথাযথ মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে দেশটির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরের স্থানীয় একটি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

কোরআন তেলোওয়াত ও জাতীয় সঙ্গীতের পর জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে শহীদ হওয়া সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর একে একে সবাই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক ইউনুস আলী খানের সভাপতিত্বে এবং মাহফুজ ফারুকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ।

southeast

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মাসুম আহমেদ চৌধুরী, দূতাবাসের সচিব শফিউল আজম, প্রফেসর শরিফুল ইসলাম, মিজানুর হক খান, মাবু জাফর স্বপন, মোহাম্মদ সাহাবউদ্দিন, হাফিজুর রহমান আলম, মোবারক আলী ভুইয়া বকুল, নজরুল ইসলাম খালেদ, হাকিম টিটু, মাসুদুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন নেছার, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক মাহমুদুল হাসান মুন্সি, নুরে আলম সিদ্দিকি, কনা ইসলাম, মমতাজুল ফেরদাউস লিপু, ইমানুর রহমান মুসাসহ আরো অনেকে।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হতো না। তার সুদৃঢ় নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ঘাতকরা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট কালোরাতে বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার মাধ্যমে জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছিল।

southeast

তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও তার স্বপ্ন ও আদর্শ ছড়িয়ে পড়েছে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

বক্তারা তাদের বক্তব্যে নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও আদর্শ তুলে ধরার আহ্বান জানান এবং আগামী বছর, ২০২০ সালে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার ঘোষিত মুজিব বর্ষ পালনের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান জানান।

এমআরএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]