ইতালিতে যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালন

জমির হোসেন
জমির হোসেন জমির হোসেন , ইতালি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৫৩ পিএম, ১৭ আগস্ট ২০১৯

বাংলাদেশ দূতাবাস রোম, ইতালি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্টের সকালে ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন এবং জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।

এরপর সন্ধ্যায় একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর গৌরবময় জীবনীর ওপর নির্মিত ভিডিও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমে আলোচনা সভা শুরু হয়। এরপর জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করে শোনান দূতাবাসের কর্মকর্তারা। বাণী পাঠের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বহু সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতারা।

Italy

রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জন্মে জাতির পিতার অবদানকে কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ জন্ম হতো না। রাষ্ট্রদূত আবদুস সোবহান সিকদার বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি স্বপ্ন দেখতেন এবং সে স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশকে একটি সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলা।

তিনি বলেন, সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য দেশ স্বাধীন হবার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে দেশ উন্নয়নের সকল ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। কিন্তু পুরোপুরি বাস্তবায়নের আগেই তিনি দুই কন্যা ব্যতীত পরিবারের সকল সদস্যসহ শাহাদাত বরণ করেন। বাঙালি জাতির ইতিহাসে এটি একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। এখন বঙ্গবন্ধু কন্যা নিজেই সেই অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ দেশ বিনির্মাণে নিয়োজিত আছেন এবং তার এই আরাধ্য কাজে সকল দেশপ্রেমিক জনগণকে সহযোগিতা করার জন্য রাষ্ট্রদূত অনুরোধ করেন।

Italy1

১৫ আগস্ট ১৯৭৫ তারিখে বঙ্গবন্ধুসহ শাহাদাত বরণকারী সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে রোম ও এর পার্শ্ববর্তী শহরে বসবাসরত রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও আঞ্চলিক সংগঠনের নেতারা ও সাংবাদিকসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি উপস্থিত ছিলেন।

এমআরএম/এমকেএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]