ইতালিতে ঈদ উদযাপন

জমির হোসেন
জমির হোসেন জমির হোসেন , ইতালি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:৩৩ পিএম, ০৪ জুন ২০১৯

ইতালিতে দ্বিধা বিভক্ত নিয়ে ঈদ উদযাপন করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীসহ দেশটির বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন করা হয়। রোমে বাংলাদেশি ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র পিয়াচ্ছা ভিত্তোরিওতে পরপর পাঁচটি জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়।

ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবাহান সিকদার ভিত্তোরিও ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ পরবর্তী সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে তিনি কুশল বিনিময় করেন।

ভিত্তোরিও ছাড়াও সেন্তশেল্লে, কাসিলিনা ভাঙা দেয়াল, মুনতানিওলাসহ আরও অনেক স্থানে ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদে ঈদ জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ বছর ঈদ নিয়ে দ্বিধা বিভক্তের মধ্যে পড়ে যায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা। ঈদ নিয়ে চরম বিভ্রান্ত দেখা দেয়। প্রতি বছর সৌদি আরবের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করেন ইতালিতে বসবাসরত মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা। কিন্তু এ বছর ইতালির সেন্ট্রাল মসজিদ ঈদ না করার সিদ্ধান্ত নিলে অন্যান্য মসজিদ কর্তৃপক্ষের মধ্যে জটিলতা দেখা দেয়।

পরে নিজেরা আলোচনার মাধ্যমে সেন্ট্রাল মসজিদের আংশিক সিদ্ধান্ত মেনে নেয় কিছু সংখ্যক মসজিদ কর্তৃপক্ষ। ফলে কেউ কেউ এ বছর ইতালিতে ত্রিশ রোজা আদায় করেছে। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বেশিভাগ মানুষই মঙ্গলবার ৪ জুন ঈদ পালন করার পক্ষে ঈদ উদযাপন করেছেন।

southeast

তবে এ নিয়ে জোরালোভাবে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলেননি। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তারা মনে করেন ইউরোপের প্রায় সব দেশেই মঙ্গলবার ঈদ উদযাপন করা হবে। ইতালি প্রবাসীরা কেন এবার ঈদ করা থেকে বিরত থাকবে। প্রবাসীদের অভিযোগ ইতালিতে চাঁদ দেখা কমিটি আছে কিনা সেটাই এখনো স্পষ্ট নয়।

বিগত বছরগুলোতে সৌদির সঙ্গে ঈদ উদযাপন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে টিএমসি মসজিদের ইমাম মাওলানা হুমায়ুন রশিদ বলেন, ‘ঈদ নিয়ে চরম একটা সংকট দেখা ২৯ রমজান রাতে। কারণ ইতালির সেন্ট্রাল মসজিদ সৌদি আরবের সঙ্গে ঈদ উদযাপন না করার পরামর্শ দেন।’

কারণ হিসেবে ইতালিতে চাঁদ দেখা যায়নি। তাই মঙ্গলবার ঈদ না করে বুধবার ঈদ করার ঘোষণা দেন। মাওলানা হুমায়ুন মনে করেন যোগাযোগের ঘাটতি থাকায় এ সমস্যা দেখা দিয়েছে আগে আগে ঘোষণা আসলে মানুষের প্রস্তুতিটা ভালো হত। দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যে কাউকে পড়তে হত না।

যার ফলে সেন্ট্রাল মসজিদের ঘোষণাকে উপেক্ষা করে অনেক স্থানে ঈদ জামায়াতের প্রস্তুতি নিয়ে জামাত করা হয়। ভবিষ্যতে আমাদের আরও একটু সচেতন হতে হবে। এদিকে সেন্ট্রাল মসজিদকে আমলে নিয়ে লারগো প্রেনেসতে পবিত্র ঈদ উদযাপন করার ঘোষণা দেন মসজিদে রোমার ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান।

একই সঙ্গে বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু লারগো প্রেনেসতে ঈদ জামায়াতে উপস্থিত থাকতে আহ্বান করেন। ঈদ জামায়াতে মুসলিম উম্মার শান্তির জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়। ঈদ জামাতে প্রবাসী বাংলাদেশি ছাড়াও অন্যান্য দেশের মুসলমানরা জামাতে অংশ নেন।

এমআরএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]