ইতালির শরণার্থীদের অজ্ঞাত স্থানে অপসারণ

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:০২ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০১৯

ইতালির দ্বিতীয় বৃহত্তম শরণার্থী শিবির থেকে জোর করে পাঁচশ’রও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশীকে অন্যত্র সরিয়ে দেয়া হয়েছে। সরকারের দাবি, ইতালির জনগণের সুবিধার্থে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ইতালি সরকার ওই শরণার্থী শিবির থেকে পাঁচশ'রও বেশি অভিবাসীকে জোর করে অন্য স্থানে নিয়ে যায়। তাদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও বাসে করে অভিবাসীদের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই রোমের উত্তরে প্রত্যন্ত শহর কাসেলনুয়েভো ডি পোর্তো থেকে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন সেখানকার মেয়র। তিনি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ‘রোম কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় এসব অভিবাসীদের শিক্ষা, চিকিৎসা, খেলাধুলায় যুক্ত করা, সামাজিক বিভিন্ন প্রকল্পে নিয়োগ করার কাজ হচ্ছিল। এখন তাদের অন্যত্র নিয়ে যাওয়ায় অন্তত ১০৭ জন মানুষ বেকার হয়ে পড়বে।’

তিনি আরো জানিয়েছেন, অনেক শরণার্থীর সন্তানরা এখানে নিয়মিত স্কুলে যেত, তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।

মেয়র জানান, ‘অভিবাসীরা ইতালির জন্য কোনো সমস্যা নয়। এর চেয়েও অনেক ভয়াবহ সমস্যা আমাদের নিত্যদিন মোকাবেলা করতে হচ্ছে; যেমন বেকারত্ব, দুর্নীতি, মাফিয়া দৌরাত্ম্য, কর ফাঁকি, ভেঙে পড়া বিচারব্যবস্থা, নিরাপত্তাব্যবস্থার অবনতি।’

গত প্রায় এক দশক ধরে কাসেলনুয়েভো ডি পোর্তোতে লাখো অভিবাসীকে স্থানান্তর করা হয়েছে। ২০১৬ সালে স্থানটি বিখ্যাত হয়েছিল ইস্টারের ঐতিহ্যবাহী প্রথা ‘পোপ ফ্রান্সিসের পা ধোঁয়া’ অনুষ্ঠান উপলক্ষে। অভিবাসীদের জন্য গত মাসে ইতালিতে নতুন আইন হয়। সেই আইনের আওতায় এই স্থানান্তর শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি বরাবরই অভাবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর। তার কারণেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কট্টর ডানপন্থি দল লেগা পার্টির নেতা সালভিনি’র দাবি, ওই শরণার্থী শিবিরটি মাদকপাচারকারী এবং অপরাধীদের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। তবে তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এই অভিবাসীদের খুব সুন্দর একটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ইতালির স্থানীয় একটি পত্রিকা জানিয়েছে, অন্তত ৫৩৫ জন অভিবাসীকে বন্দিশিবিরে রাখা হয়েছে। আরো কয়েকশ’ অভিবাসীকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি। স্থানীয়দের অনেকে এসব অভিবাসীর মধ্য থেকে কয়েকজনকে বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এমআরএম/আরআইপি

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]