নিউইয়র্ক পুলিশের ‘হিরো’ উপাধি পেলেন বাংলাদেশি

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:১৫ এএম, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮

পাঁচ সন্ত্রাসীকে একা দমন করে নিউইয়র্ক পুলিশের ‘হিরো’ উপাধি পেলেন বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ কর্মকর্তা সৈয়দ আলী। যুক্তরাষ্ট্রের সব বড় মিডিয়ায় তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগ-এনওয়াইপিডিও তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

ঘটনার ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচ দুর্বৃত্তকে মোকাবেলা করেছেন তিনি একাই। হাতে একটি ব্যাটন। আর ছিল তার পায়ের জোর। পাঁচজনের মিলিত হামলা প্রতিরোধে এই ছিল তার আত্মরক্ষার হাতিয়ার। তিনি সফল হয়েছেন। শুধু আত্মরক্ষাই নয়, কাবু করে ফেলেন দুর্বৃত্তদের।

এমন একটি অসম লড়াইয়ে এই সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ঘরে ঘরে পরিচিত হয়ে উঠেছেন নিউইয়র্ক পুলিশের কর্মকর্তা সৈয়দ আলী। দুর্বৃত্তদের সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করার এই পুরো ঘটনাটি ধারণ করেছিলেন একজন পথচারী। পরে তিনি ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়।

ঘটনাটি ঘটেছে রোববার। লোয়ার ম্যানহাটনের ইস্ট ব্রডওয়ে সাবওয়ে স্টেশনে এক নারী সৈয়দ আলীকে জানান, কিছু লোক তাকে খুব উত্ত্যক্ত করছে। পুলিশ অফিসার আলী এগিয়ে গিয়ে সেই লোকগুলোকে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত হতে বলেন এবং তাদেরকে স্টেশন ছেড়ে চলে যেতে বলেন।

সৈয়দ আলী বলেন, এরপরই তিনি লক্ষ্য করলেন, ওই লোকগুলো একজোট হয়ে মারমুখী হয়ে উঠল। দুর্বৃত্তরা তার দিকে এগিয়ে আসতে থাকলে তিনি বার বার তাদেরকে থামতে বলেন। কিন্তু নিষেধ না শুনে একজন তার ওপর হামলা করলে তিনি লাথি দিয়ে তাকে ফেলে দেন। লোকটা আবার উঠে তাকে ঘুষি মারতে থাকলে তিনি ব্যাটন চার্জ করেন।

এ সময় দ্বিতীয় একজন তার ওপর হামলা চালালে তিনি প্রতিরোধ করেন। তখন এক ব্যক্তি তার সাহায্যে এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পা ফসকে সাবওয়ে ট্র্যাকের (লাইন) ওপর পড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে সৈয়দ আলী ট্র্যাকে পড়ে যাওয়া লোকটির নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেন এবং থার্ড রেলের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার জন্য বলতে থাকেন।

তবে পুরো ঘটনা কীভাবে ঘটে গেল তা সৈয়দ আলী মনে করে উঠতে পারেননি। সেসব ঘটনা তিনি ভিডিওতে দেখেছেন। তবে এই ভিডিওর কথা তিনি কিছুই জানতেন না। পরদিন ভোর পাঁচটায় তার এক সহকর্মী টেলিফোনে তাকে এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার কথা জানালে তিনি প্রথম এটি সম্পর্কে অবহিত হন।

এমআরএম/আরআইপি

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]