ইতালিতে বাংলাদেশিদের বিয়ার বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা

ইতালিতে অভিবাসী ও নিরাপত্তা আইন কার্যকর হয়েছে। ফলে দেশটিতে বিভিন্ন নিয়ম-কানুন বাস্তবায়নে জোর তাগিদ দিয়েছে দেশটির প্রশাসন। স্থানীয় সময় রাত ৯টার পর কেউ গ্রোসারি কিংবা বিয়ারের দোকান খোলা রাখতে পারবে না।

আইনটি কার্যকরের ফলে বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের দোকানে বিয়ার বিক্রিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। (প্রস্তাবিত) বিশেষ করে বাংলাদেশিসহ অভিবাসী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। নতুন এ আইন পূর্ণাঙ্গ কার্যকর হওয়ায় আর্থিক লোকসান গুণতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিবাসী ব্যবসায়ীরা।

আইনটি অনুমোদন হওয়ায় বাংলাদেশি ও অন্য দেশের অভিবাসীরা চরম বিপাকে পড়ছে বলে অভিবাসীরা জানান। এ আইনে সন্ত্রাসবাদ যৌন হয়রানি, মানবপাচার ও মাদক চক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে।

তারা বলেন, বন্ধ করতে হলে সবার ব্যবসাই বন্ধ করা উচিত। শুধু বাংলাদেশিসহ অন্যান্য অভিবাসী ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান কেন বন্ধ হবে? সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নতুন ডিক্রির ওপর স্থানীয় টেলিভিশনে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সাংবাদিকদের কাছে ইতালির নাগরিক ও অভিবাসীরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।

স্থানীয় নাগরিকরা বলেন, রাত ৯টায় অভিবাসীদের দোকান বন্ধ রাখার যে নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কাজটি ভালো করেনি। কারণ যারা কাজ শেষে দেরিতে ফেরেন তাদের অসুবিধা হচ্ছে। জরুরি কোনো কেনাকাটার প্রয়োজন হলে তা সম্ভব হবে না।

কেউ আবার এ নতুন আইনকে সমর্থন করে বলেন, রাত ৯টায় দোকান বন্ধ থাকাই ভালো। নয়তো উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা রাতে মদ-বিয়ার পান করে মাতলামি করে। এ আইনের কারণে এখন এসব বন্ধ হবে।

বাংলাদেশি অভিবাসী ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন আইনের কারণে প্রতিমাসে তাদের লোকসান গুণতে হবে। আর এভাবে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। বাসা ভাড়া, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ের স্কুলসহ অন্যান্য খরচের টাকা যোগাড় না হলে ব্যবসা গুটিয়ে ফেলাই উত্তম। এভাবে সীমাবদ্ধতার মধ্যে ব্যবসা করা সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য গত ২৪ সেপ্টেম্বর সালভিনি ডিক্রি নামে নিরাপত্তা ও অভিবাসী আইন ইতালির মন্ত্রীপরিষদে অনুমোদন করা হয়। পরবর্তীতে ৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি ওই ডিক্রিতে সই করেন। এ আইনে আর্থিকভাবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করছেন স্থানীয় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

এমআরএম/আরআইপি

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]