ইতালির ‘নতুন আইনে’ দিশেহারা অভিবাসীরা

ইতালিতে ‘নতুন অভিবাসী আইন’ কার্যকর করা হয়েছে। ফলে দেশটির অভিবাসীরা একেবারেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। প্রস্তাবিত এ আইনে ইতালিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যেকোনো ছোট অপরাধের কারণে বৈধতা হারাতে পারেন অভিবাসীরা। বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা নতুন এ আইনটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।

নতুন আইনে সন্ত্রাস, যৌন হয়রানি, মানবপাচার ও মাদকচক্রের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হচ্ছে। ইতালির বিভিন্ন শহরে আইন বাতিলের দাবিতে র‌্যালি, সভা, মিছিল-মিটিং করা হচ্ছে। স্থানীয়রাও এ আইন বাতিলের দাবিতে শহরের বিভিন্ন স্থানে
সভা-সমাবেশ করছেন। সরকারি বাসা-বাড়ি পেতেই তাদের এ আন্দোলন। এছাড়া কর্মস্থলে স্থায়ী চুক্তির ব্যবস্থা করারও আহ্বান জানানো হয়।

বেশ কয়েক বছর যাবৎ ইতালিতে অভিবাসী সমস্যা চলছে। চলমান এ অভিবাসী সমস্যা সমাধান করতে বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও সালভিনি বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। তাই অভিবাসীদের নতুন আইনের আওতায় এনে অপরাধ কমানোর চেষ্টা চলছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শনিবার দ্বিতীয়বারের মতো রিপাবলিকা চত্বরে স্থানীয় জনগণ জড়ো হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। কয়েক ঘণ্টার সমাবেশে হাজার হাজার লোকের সমাগম হয়। হাতে ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো রোম শহর। ফলে শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয় প্রশাসন। অবিলম্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ডিক্রি বাতিলের আহ্বান জানান তারা।

উল্লেখ্য, ৪ অক্টোবর নিরাপত্তা ও অভিবাসী আইন পাস হওয়ার পর কিছু ধারা বাতিলের দাবিতে ইতালির বিভিন্ন শহরে বিদেশিদের সংগঠনগুলো প্রতিবাদ সভা ও ধারাবাহিকভাবে সমাবেশ করে যাচ্ছে। ইতালি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্ণবাদী আইন কার্যকর করার ফলে রোমসহ ইতালির বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও র‌্যালি বের করে প্রতিবাদ জানান বিপুল সখ্যক অভিবাসীসহ স্থানীয় নাগরিক।

এমআরএম/বিএ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]