বাংলা টাউনে বাংলাদেশের চিত্র নিয়ে সর্ববৃহৎ ম্যুরাল

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫১ এএম, ২২ অক্টোবর ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে বাংলা টাউন খ্যাত হামট্রামিক ও ডেট্রয়েট শহরের সীমানায় বিশাল দেয়াল জুড়ে লাল সবুজে বাংলাদেশ। এখানে বসবাসকারী এক তৃতীয়াংশ অধিবাসী বাংলাদেশি। শহরে ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট গড়ে তুলেছেন বাংলাদেশিরা।

স্থানীয় অর্থনীতি ও রাজনীতিতে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়লেও এ ম্যুরাল বাংলাদেশি অভিবাসীদের খুব ভালোভাবেই উপস্থাপন করবে।

বাংলাদেশি জীবন চিত্রের এ ম্যুরাল রোববার (২১ অক্টোবর) উদ্বোধন করা হয়েছে। ৫৫ ফুট চওড়া ও ৪৬ ফুট উঁচু এ ম্যুরাল। নিউইয়র্কের অধিবাসী মেক্সিকান বিখ্যাত অঙ্কন শিল্পী ভিক্টর কুইনোনেজ এটি অঙ্কন করেছেন।

‘মারকা২৭’ নামে পরিচিত এ শিল্পী নিউ- ইন্ডিজেনাস (নব্য-আদিবাসী) স্টাইল চিত্রাঙ্কনের জন্য খ্যাত। ‘ওয়ান ডেট্রয়েট’ নামের সংগঠন ৫৬ লাখ ইউএস ডলার (বাংলাদেশি প্রায় অর্ধকোটি টাকা) খরচ করেছে ম্যুরালে।

‘ওয়ান ডেট্রয়েট’ অধিকর্তা সমাজকর্মী বিল মায়ার অভিবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সঙ্গে এ ম্যুরাল নিয়ে অনেক দিন ধরে কাজ করছেন। ম্যুরালের খরচের অর্ধেক দিয়েছেন বাংলাদেশি কমিউনিটি। বাকি অর্থ সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় হয়েছে।

‘ওয়ান ডেট্রয়েট’ এর অধিকর্তা বিল মায়ার ম্যুরাল প্রসঙ্গে বলেন, সঠিক দেয়াল নির্বাচন, কোন ছবির উপর ম্যুরাল হবে, ম্যুরালের শিল্পী নির্বাচন, অর্থ সংগ্রহ সব কিছুই হয়েছে শহরের অধিবাসীদের নিয়ে।

লাল সবুজের এ বৃহৎ ম্যুরালে বাম পাশের নিচের অংশে সবুজ চা বাগান। কেননা হ্যামট্রামিক শহরের বাংলাদেশি অভিবাসীদের ৮০ শতাংশ সিলেটি। ডান পাশের চা বাগানে এক বাংলাদেশি আমেরিকান রমণী, তার পরনে লাল চাদর। লাল সবুজে বাংলার পতাকার প্রতিচ্ছবি। লাল চাদরে পাশে ডান পাশের নিচের অংশে আঁকা হয়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার।

রমণীর খোলা চুলে দুটি সাদা শাপলা। এ ছাড়া নকশী কাথায় সাজানো চাদরে ভাষা শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশে আঁকা হয়েছে শহীদ মিনার। ভাষা আন্দোলনের আত্মত্যাগের ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে আঁকা হয়েছে বিশাল আকৃতির ‘অ’ ‘আ’ ‘ক’ ‘খ’ বর্ণমালা।

সুবহা, ফারহা, ফারহান, তামান্না, মানিশা, জুনাইদ। অন্যান্য জাতি গোষ্ঠী নিয়ে এতো দেয়াল চিত্র হলেও বাংলাদেশি অভিবাসীদের নিয়ে এই প্রথম দেশের বাইরে এত বড় ম্যুরাল।

এএইচ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]