সহজ হলো আমিরাতে কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়া

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:৪১ এএম, ১৬ অক্টোবর ২০১৮

সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রাইভেট কোম্পানিগুলোতে নতুন কর্মী নিয়োগে আর জামানত আর থাকছে না। সোমবার (১৫ অক্টোবর) থেকে কার্যকর হয়েছে এ আইন। ফলে কর্মী নিয়োগে যে তিন হাজার দিরহাম ডিপোজিট রাখার নিয়ম চালু ছিল সেটি থেকে অব্যাহতি পাচ্ছেন কোম্পানি মালিকরা।

সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে কর্মীবাবদ ৬০ দিরহামের লোকস্ট ইন্সুরেন্স স্কিমের আওতায় আসতে হবে। দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে খালিজ টাইমস এ খবর জানিয়েছে। ফলে উপকৃত হবেন প্রায় অর্ধলাখ বাংলাদেশি মালিকানাধীন ছোটবড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।

এর আগে, প্রবাসী মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোতে কোনো কর্মী নিয়োগ করতে হলে তাদেরকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দেশটির সরকারি মন্ত্রণালয়ের কাছে জামানত রেখে কর্মী নিয়োগ দিতে হতো। যেটি একজন মালিকের পক্ষে বেশ কষ্টসাধ্য বিষয় ছিল। তাছাড়া কর্মীরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানি থেকে পালিয়ে গেলে বিপুল পরিমাণ অর্থ বেহাত হয়ে যেতো মালিকদের।

দেশটির সরকার পর্যায়ক্রমে এই খাতে জমা থাকা ১৪ বিলিয়ন দিরহাম ব্যাংক গ্যারান্টির টাকা কোম্পানিগুলোকে হস্তান্তর করবে, যখন তারা ইন্সুরেন্সের আওতায় কর্মচারীদের দেশটিতে নিয়ে যাবেন। তবে, যেসব কোম্পানির কর্মীদের বেতন সংক্রান্ত বিধি লঙ্ঘনের রেকর্ড আছে তারা ব্যাংক গ্যারান্টির টাকা ফেরত পাবেন না।

এই ইন্সুরেন্স স্কিমের আওতায় থাকা কর্মীরা কোম্পানি দেউলিয়া হলে বা কোনো কারণে তাদের ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হলে মাথাপিছু সর্বোচ্চ ২০ হাজার দিরহাম পর্যন্ত গ্র্যাচুয়িটি, ছুটি, ওভারটাইম, বকেয়া বেতন, এয়ার টিকেট বা কর্মক্ষেত্রে সংগঠিত দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ পাবেন।

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহৎ এই শ্রমবাজারে প্রায় ছয় লাখের অধিক বাংলাদেশি রয়েছে। যাদের বেশিরভাগই শ্রমিক হিসেবে দেশটিতে কর্মরত। তবে, কর্মীর বাইরে আমিরাতের বাজারে বিভিন্ন ছোট-খাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন বহু বাংলাদেশি।

এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছেন বেশ কিছু সংখ্যক কর্মী। কিন্তু জামানত সিস্টেম চালু থাকায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়ে যেতে বেশ ভোগান্তি ও অর্থদণ্ড পেতে হতো এসব মালিকদের। লোকস্ট ইনস্যুরেন্স সিস্টেম চালু হওয়ায় কর্মী নিয়োগে ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করেন দেশটিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।

এমআরএম/বিএ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]