সৌদি থেকে ১৪৪ শ্রমিক দেশে ফেরায় যা বলল দূতাবাস

কূটনৈতিক প্রতিবেদক কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৬ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০১৮

সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরত যাওয়া ১৪৪ জন শ্রমিকের বিষয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দূতাবাসের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিকদের ইকামায় উল্লেখিত পেশা ও যে কোম্পানি বা মালিকের অধীনে কাজ করার জন্য নির্দিষ্ট করা আছে সেখানে কাজ না করে অন্য স্থানে কাজ করাতে সৌদি সরকার তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে।

সম্প্রতি সৌদি আরব সরকার ১২টি পেশায় প্রবাসীদের কাজ করা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এসব ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সৌদি আরবের নাগরিকরা কাজ করতে পারবে। প্রবাসীদের জন্য নিষিদ্ধ করা কর্মক্ষেত্রগুলো হলো ঘড়ির দোকান, চশমার দোকান, ঔষধ সরঞ্জামের দোকান, বৈদ্যুতিক ও ইলেক্ট্রনিক দোকান, প্রাইভেট কারের খুচরা যন্ত্রাংশের দোকান, ভবন নির্মাণের উপাদান, কার্পেটের দোকান, অটোমোবাইলের দোকান, ফার্নিচারের দোকান, প্রস্তুতকৃত তৈরি পোশাকের দোকান, শিশু ও পুরুষদের পোশাকের দোকান, চকলেট ও মিষ্টির দোকান।

বর্তমানে যে কোন অভিবাসীকে উল্লিখিত পেশায় নিয়োজিত পাওয়া মাত্র তাদের অবৈধ বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া পূর্বে নিষিদ্ধ সবজি বিক্রয়ের দোকানে বাংলাদেশিদের কর্মরত পাওয়া যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

অবৈধ শ্রমিকদের নিজের দেশে ফেরত পাঠানো সৌদি সরকারের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ। ইকামা ফি নির্ধারণ সৌদি সরকারের নিজস্ব নীতিগত বিষয়, যা সব বিদেশি শ্রমিকদের জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য।

উল্লেখ্য, সৌদি আরবে সরকার যে কোন সিদ্ধান্ত কার্যকর করার কমপক্ষে ৬ থেকে ১৮ মাস পূর্বে নোটিশ প্রদান করে থাকে। বর্তমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে সৌদি সরকারের সম্পর্ক অত্যন্ত সহযোগিতাপূর্ণ এবং বাংলাদেশের শ্রমিকদের সহায়তা প্রদানে সৌদি সরকার খুবই আন্তরিক ও সহানুভূতিশীল।

সৌদি আরবে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশিদের সব ধরনের সেবা প্রদানে দূতাবাস অঙ্গীকারবদ্ধ। সৌদি আরবে বসবাসরত বাংলাদেশিদের যে কোনো প্রয়োজনে দূতাবাসের পরামর্শ গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।

জেপি/এমআরএম/আরআইপি

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]