মালয়েশিয়ায় যেন এক টুকরো বাংলাদেশ

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ০৮:৪৪ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০১৮

মালয়েশিয়ায় যেন এক টুকরো বাংলাদেশ। লাল গালিচা বিছিয়ে স্বাগত জানানো হয় প্রবাসী সূর্য সন্তানদের যেন বাংলার জমিনে গর্বিত বীর।
বঙ্গবন্ধুর উন্নয়ন দর্শন ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ প্রগতি ও উন্নয়নের মহাসড়কে।

দেশের উন্নয়নের বর্তমান অবস্থান সমগ্র জাতি ও বিশ্বের কাছে তুলে ধরার অভিপ্রায়ে দেশব্যাপী এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে আয়োজন করা হয় উন্নয়ন মেলা। ৬ অক্টোবর মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক বাংলাদেশের অদম্য অগ্রযাত্রার সরাসরি অংশীদার প্রবাসী সূর্য সন্তানদের সম্মুখে তুলে ধরা হয় উন্নয়নের চিত্র।

কৃষি, শিক্ষা, শিল্প, বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য, তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ, সমুদ্র বিজয় ও মহাকাশ বিজয় সম্পর্কে জানতে পারে। যারা দিন রাত স্বজন ও পরিবার দূরে রেখে কলে কারখানায় কাজ করছে জীবনের শ্রেষ্ঠতম সময়ে। তাদের জানার অধিকার আছে এবং এ অধিকারের বাস্তবায়ন করল মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন। তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য যেমন ছিল দূতাবাসের উইং ভিত্তিক স্টল তেমনি ছিল রেমিটেন্স প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে কোন চার্জ ছাড়াই দেশে টাকা পাঠানোর ব্যবস্থা। রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর হ্রাসকৃতমূল্যে টিকিট বিক্রি। মেলায় আগতদের জন্য ছিল স্বল্পমূল্যে দেশীয় খাবারের ব্যবস্থা।

jagonews

বেলা ১১টায় মেলা শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। প্রবাসীদের সন্তান ও দূতাবাসের যৌথ অংশগ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং দিনব্যাপী মালয়েশিয়ায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্রদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। ছিল উন্নয়নের নানা ভিডিও প্রদর্শনী। সবশেষে মেলায় আগত দর্শনার্থীদের দেয়া হয় উপহার।

মেলার বিশেষ আকর্ষণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশাল পোট্রেট। সাবেক তথ্যমন্ত্রী এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ এমপি। সব মিলিয়ে প্রবাসীদের অংশগ্রহণে দূতাবাস প্রাংঙ্গণে প্রথমবার আয়োজিত উন্নয়ন মেলায় জানা গেছে উন্নয়নের অভিযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ।

এমআরএম/আরআইপি

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]