১৩ লাখ সৌদি রিয়াল নিয়ে পলাতক বাংলাদেশি

আব্দুল হালিম নিহন
আব্দুল হালিম নিহন আব্দুল হালিম নিহন , সৌদি আরব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:৫২ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের সবথেকে বড় সবজি মার্কেট বলা হয় ‘আজিজিয়া খুদার’ নামক এলাকাকে। পাইকারি বাজার নামে পরিচিত। কাঁচামাল ছাড়াও সব ধরনের দোকান রয়েছে। ৬০ শতাংশই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। এসব ব্যবসায়ীদের ১৩ লাখ রিয়াল নিয়ে দেশে পালিয়ে গেছে মোস্তফা নামে এক বাংলাদেশি।

পুরো হিসেবে উঠে এসেছে, তার কাছ থেকে আজিজিয়া সবজি ব্যবসায়ীরা প্রায় ১৩ লাখ সৌদি রিয়াল পাবেন। যার মধ্যে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা ছাড়াও রয়েছেন- ইন্ডিয়ান, মিশরীয়, পাকিস্তানি। মার্কেটটিতে স্থানীয় মালিকের সঙ্গে বাংলাদেশিরা যৌথভাবে ব্যবসা পরিচালনা করে থাকেন।

সৌদি প্রবাসী মোস্তফা, সে থাকতেন রিয়াদে। কয়েক বছর ধরে মোস্তফা আজিজিয়া সবজি মার্কেট থেকে পাইকারি মালামাল নিয়ে বিক্রি করতেন বাহিরের বিভিন্ন দোকানে। এক পর্যায়ে অল্প অল্প করে বিভিন্ন দোকানে মোটা অংকের দেনা করে বাংলাদেশে পালিয়ে যায়।

আজিজিয়া সবজি মার্কেটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতারক মোস্তফা আজ না কাল করে করে এসব দেনা করেছে এবং পাইকারি দোকানদারদের বলেছে বাজারে তার টাকা আটকে আছে। এসব টাকা তুলে সে পুরো দেনা পরিশোধ করবে। কিন্তু পুরো টাকা নিয়ে সে দেশে চলে যায়।

southeast

বৃহস্পতিবার আজিজিয়া মার্কেটে গিয়ে মোস্তফার কাছ থেকে কি পরিমাণ টাকা পাওয়া যাবে তার লিস্ট তৈরি করা হয়েছে। লিস্টে উঠে এসেছে, রিয়াজ ১৬৮০০০ রিয়াল, মো. সোহেল ১৭০০০ রিয়াল, মো. সাইফুল ২৭০০০ রিয়াল, নেওয়াজ ইন্ডিয়ান ৩৪০০০ রিয়াল, নাজমুল ৮০০০ রিয়াল, নজরুল ১৮০০০ রিয়াল, জজ মিয়া ৬০০০ রিয়াল, বাবুল ১২০০০ রিয়াল, এহসান ইন্ডিয়ান ১৫০০০ রিয়াল, সিরাজ ২৭০০০ রিয়াল, সুলেমান ২৮০০০ রিয়াল, আরিফ ২২০০০ রিয়াল। এর বাইরেও অনেকে টাকা পায় বলে অভিযোগ এসেছে।

তাকে কেন বাকিতে মাল দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে ব্যবসায়ীরা জানান, ‘মোস্তফা বাংলাদেশি ভাই, সেক্ষেত্রে তাকে বিশ্বাস করায় যায়। এছাড়া ব্যবসা-বাণিজ্যে বাকি লেনদেন থাকাটায় স্বাভাবিক। সে আমাদের এত বড় সর্বনাশ করবে সেটা বুঝতেই পারিনি। তার সঙ্গে টাকা চাইলে বিভিন্ন অজুহাতে আজ কাল করে ঘোরাতো। এখন আমরা চরম বিপদে আছি। কি যে করব বুঝতে পারছি না। এদিকে সৌদি মালিকেরাও নানাভাবে আমাদের চাপ দিচ্ছে। জানি না শেষ পর্যন্ত কপালে কি আছে।’

এদিকে, এসব ব্যবসায়ীদের মালিক (সৌদি নাগরিক) তাদের সময় নির্ধারণ করে দিয়েছে। সময়মতো এসব দেনা পরিশোধ না করলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। পরিশোধ করতে গড়িমসি করলে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দেশে পাঠানোরও হুমকি দেয়া হচ্ছে।

এমতাবস্থায় আজিজিয়া মার্কেটে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা চরম সমস্যায় দিন কাটাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

এমআরএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]