ওমানে জুসের ব্যবসা করে সফল বরকত আলী

বাইজিদ আল-হাসান
বাইজিদ আল-হাসান বাইজিদ আল-হাসান , ওমান প্রতিনিধি ওমান থেকে
প্রকাশিত: ০৪:৫২ পিএম, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ওমানে হোটেল-রেস্টুরেন্ট দিয়ে সফল হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি মো. বরকত আলী। দেশটির পর্যটন এরিয়া মাতরাহ কর্নেশে একটি জুস ও চাইনিজ রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তিনিই পরিচালনা করছেন। ওমানজুড়ে আলোচিত তার বিখ্যাত ১৪ কালারের জুস।

মো. বরকত আলী, সিলেট মৌলভীবাজারের কৃতী সন্তান। ২২ বছর আগে ভাগ্য বদলের আশায় পাড়ি জমান ওমান। শুরুতে একটি রেস্টুরেন্টে সাধারণ কর্মচারী হিসেবেই তার যাত্রা। দীর্ঘ ৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নিজেই দেন হোটেল ব্যবসা। তবে ব্যতিক্রমী জুসেই তার ভাগ্যের পরিবর্তন এনেছে বলে জানান তিনি।

oman

দেশটির পর্যটন এরিয়া মাতরাহ কর্নেশে একটি জুস সেন্টার দিয়ে শুরু। ১৪ কালারের স্পেশাল জুস বানিয়ে খ্যাতি অর্জন করেন ওমানজুড়ে। সেই সঙ্গে ইউরোপ আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশের ট্যুরিস্টদেরও মন জয় করেন বাংলাদেশি বরকত আলী।

বরকত আলী বলেন, ওমানে যখন প্রথম এসেছিলাম তখন খুব সমস্যায় ছিলাম। কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। পরে একটা রেস্টুরেন্টে কর্মচারী হিসেবে কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে মেধা  কাজে লাগিয়ে নিজেই কয়েকটা দোকান দিয়েছি। হোটেলের অন্যান্য প্রডাক্টের তুলনায় ব্যতিক্রমী জুসই সেরা। আমার বানানো জুস বিদেশিরা খুব পছন্দ করে।

oman

বর্তমানে তার দুটি রেস্টুরেন্ট, কসমেটিক্স ও পারফিউমের দোকান রয়েছে। বিল্ডিং মেটারিয়ালসসহ প্রায় ৭টি প্রতিষ্ঠান করেছেন দেশটিতে। তার কোম্পানিতে ১০০ এর বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন।

জুস ছাড়াও টার্কিশ শর্মা, চাইনিজ ফুড, এরাবিয়ান ফুড, থাই ফুড, কন্টিনেন্টালসহ সব ধরনের খাবারের বিশাল সমারোহ রয়েছে রেস্টুরেন্টে। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত ট্যুরিস্টরা ভিড় জমাচ্ছেন হোটেলগুলোতে।

এমআরএম/আরআইপি

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]