স্পেনে অভিবাসীদের আন্দোলনে বাংলাদেশিদের সংহতি

মিরন নাজমুল
মিরন নাজমুল মিরন নাজমুল , স্পেন প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:২৩ পিএম, ০২ মে ২০১৮

স্পেনের বার্সেলোনায় অভিবাসন আইন শিথিলের দাবিতে অভিবাসীদের আন্দোলনে কাতালোনিয়ার স্থানীয় রাজনৈতিক দলের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশিরা সংহতি জানিয়েছে। গত কয়েক মাস যাবত বার্সেলোনার এসকুয়েলা মাসসানা নামে পরিত্যক্ত একটি স্কুলে লাগাতর অবস্থান করে বিভিন্ন দেশের অভিবাসী এবং উদ্বাস্তুরা অভিবাসন আইন শিথিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেলেন।

গত ২৪ এপ্রিল সকাল ১১টায় কাতালোনিয়ার মূলধারার রাজনৈতিক দল এসকেররা রেপুবলিকানা দে কাতালোনিয়ার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দলটির সদস্য হিসেবে প্রবাসী বাংলাদেশি বেশ কয়েকজন আন্দোলনস্থল পরিদর্শনে যান এবং আন্দোলনের দাবি-দাওয়ার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন।

পরিদর্শনকালে দলের স্থানীয় স্প্যানিশ সদস্য মিস্টার এনরিকে মোসকেরা অভিবাসীদের আন্দোলনে ‘যৌক্তিকতা’ উপলব্ধি করে নিজে সরাসরি কর্মসূচিতে যোগ দেন এবং সকলকে অভিবাসীদের এই মানবিক আন্দোলনে সহায়তা করার আহ্বান করেন।

আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করতে সমাবেশস্থলে যান এসকেররা রেপুবলিকানা দে কাতালুনিয়া পার্টির সংসদ সদস্য রবার্ট মাসি নাহার, দলেন নেতা ও বার্সেলোনা মিউনিসিপাল সিটির সিউদাদ ভেইয়া জোনের সভাপতি মার্ক বোররাস বাতায়সহ দলের প্রবাসী বাংলাদেশি সদস্য ও সমন্বয়ক সালেহ আহমেদ সোহাগ, সদস্য মোহাম্মাদ ইসরাজুল ইসলাম এবং সদস্য আবুল কালামসহ অন্যান্যরা।

অভিবাসীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী অভিবাসীদের সহায়তা দেয়া আমাদের মানবিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। তাদের দাবিগুলো বিবেচনার জন্য আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। আমরাও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে দাবি করছি, কাতালোনিয়া যারা কোনোপ্রকার বৈধ ডকুমেন্ট বা রেসিডেন্সি ছাড়া আছেন তাদের সকলকে যেন সহজ শর্তে রেসিডেন্সি প্রদান করা হয়।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে স্পেনে পরিবর্তিত অভিবাসন আইনে স্প্যানিশ রেসিডেন্ট কার্ড প্রাপ্তিতে জটিলতা এবং স্প্যানিশ পাসপোর্টের আবেদনে ফি ও পরীক্ষা পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে, বিগত তিন বছর ধরেই এইসব অভিবাসী আইন শিথিলের দাবিতে বাংলাদেশীশিরাসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা আন্দোলন করে আসছিলেন। এই বর্তমান অবস্থান ধর্মঘটও সেই আন্দোলনেরই অংশ।

বিএ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]