মালয়েশিয়া দূতাবাসে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া থেকে
প্রকাশিত: ০৭:৪১ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭

‘নিরাপদ অভিবাসন যেখানে টেকসই উন্নয়ন সেখানে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করা হয়েছে।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় কুয়ালালামপুরের এমপি এ জে অডিটরিয়ামে দিবসটি উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

হাইকমিশনার মহ. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও দূতাবাসের শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডলের সঞ্চালনায় এবং কমিশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ মো. তাছিরের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

এরপর একে একে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা এয়ার কমডোর হুমায়ূন কবির, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিনিস্টার রইস হাসান সরোয়ার, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কমার্শিয়াল উইং ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব কনস্যুলার এমএসকে শাহীন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মশিউর রহমান তালুকদার, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবের বাণী পাঠ করেন প্রথম সচিব রাজনৈতিক তাহমিনা ইয়াসমিন।

সভাপতির বক্তব্য রাষ্ট্রদূত মহ. শহীদুল ইসলাম বলেন, অভিবাসীদের মর্যাদা ও অধিকার সমুন্নত রাখার প্রয়াসে প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর এ দিবসটি পালন করা হয়। দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় করার প্রত্যয়ে অভিবাসীরা যেভাবে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তাদের পাঠানো অর্থে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে। সে অনবদ্য অবদানকে মূল্যায়ন করাই এ দিবসের উদ্দেশ্য।

রাষ্ট্রদূত বলেন, মালয়েশিয়া প্রবাসীদের সুবিধার বিষয়াদি নিয়ে এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলেছি। প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রমিকের চাহিদা বুঝতে এবং কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করতেই তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হয়। বর্তমানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিরা সম্মানবোধের জায়গায় চলে এসেছেন।

আলোচনা সভায় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক, দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বস্তরের প্রবাসীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় কবিতা আবৃত্তি, নাচসহ এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিএ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]