রাশিয়ায় জাতীয় শোক দিবস পালিত

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:০৫ এএম, ১৭ আগস্ট ২০১৭

মস্কোর বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর আবহে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসের শুরুতেই ভোরে দূতাবাসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। রাশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. এস এম সাইফুল হক দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন।

সন্ধ্যায় এ উপলক্ষে দূতাবাসে আলোচনা অনুষ্ঠান ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে অংশগ্রহণকারী সকলে কালো ব্যাজ পরিধান করেন। প্রথমে এস এম সাইফুল হক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর মস্কোতে বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে ১৫ আগস্টে শাহাদত বরণকারী বঙ্গবন্ধুসহ সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হয়।

আলোচনার শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বাণী পাঠ শেষে জাতির জনকের জীবন ও কর্মের ওপর একটি বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করা হয়। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর ড. আশফাকুল ইসলাম বাবুল। প্রবন্ধ পাঠের পর বঙ্গবন্ধুর শাসনকালের ওপর নির্মিত সোনালি দিনগুলো প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শন করা হয়।

Mosko

জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পেত না, সেই মহান নেতাকে তৎকালীন কতিপয় বিপথগামী ও বিশৃঙ্খল সেনাসদস্য এবং স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত শক্তি ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রীমহলের যোগসাজশে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেই সঙ্গে হত্যা করা হয় বাঙালির প্রাণের নেতাকে, দেশকে নিয়ে যাওয়া হয় পেছনের দিকে।

তিনি ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন সফরকে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মূল ভিত্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি জাতির জনকের খুনিদের শাসিত কার্যকর করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং খুনিদের মধ্যে যারা এখনও বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের দেশে এনে শাস্তি কার্যকর করার জন্য প্রবাসীসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টে নিহত তার পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন দূতাবাসের ওয়ারেন্ট অফিসার রাশেদ আহমেদ।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]