পাকিস্তানে জাতীয় শোক দিবস পালিত

প্রবাস ডেস্ক
প্রবাস ডেস্ক প্রবাস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৫ এএম, ১৭ আগস্ট ২০১৭

পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে ১৫ আগস্ট দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। চ্যান্সারি ভবন জাতীয় শোক দিবসের পোস্টারে সজ্জিত করা হয় এবং অনুষ্ঠানে যোগদানকারী সবাই কালোব্যাজ পরিধান করেন।

সকালে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে হাইকমিশনের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ইসলামাবাদে বসবাসকারী কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন পাকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারিক আহসান। বিকেলে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের বিদেহী আত্মার প্রতি উৎসর্গ করে কোরআন খতম করা হয়।

সন্ধ্যায় আলোচনা ও স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার ও হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের পর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

Islamabad

আলোচনা সভায় বক্তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তুলনাহীন অবদান এবং জীবন ও কর্মের উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরেন। তারা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে গভীর শোক প্রকাশ করেন। পাকিস্তানের প্রখ্যাত ব্যবসায়ী ও ব্যাংকার সাহাবুদ্দিন আহমেদ, যিনি তরুণ বয়সে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ করার সুযোগ পেয়েছিলেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিচারণ করেন।

তারিক আহসান তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা এবং স্বাধীনতার রূপকার। তারিক আহসান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এখনও চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে, এমনকি তারা যেকোনো সময় বাংলাদেশের ক্ষতি সাধন করতে পারে।

তিনি মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মনে-প্রাণে ধারণ করে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বলীয়ান হয়ে একটি আধুনিক, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]