লন্ডনে ভবনে আগুন : বাংলাদেশি পরিবার নিখোঁজ


প্রকাশিত: ০৭:১৮ পিএম, ১৪ জুন ২০১৭

লন্ডনের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বাংলাদেশি এক পরিবারের খোঁজ মিলছে না বলে জানা গেছে। নিখোঁজ ওই পরিবারের সবাই মৌলভীবাজরের বাসিন্দা। অগ্নিকাণ্ডস্থল গ্রিনফেল টাওয়ারের একটি ফ্ল্যাটে কমরু মিয়া, তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে থাকতেন।

পশ্চিম লন্ডনে ১৯৭৪ সালে নির্মিত ২৭তলা এই ভবনে দেড়শর মতো আবাসিক ফ্ল্যাট ছিল। ১৪২ নম্বর ফ্ল্যাটে কমরু পরিবার থাকতেন বলে তার স্বজনরা জানান। মঙ্গলবার রাতে ওই ভবনটিতে আগুন লাগে। পরে বুধবার দুপুরের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

কমরু মিয়ার ভাতিজা যুক্তরাজ্যেরই চেলসির বাসিন্দা আবদুর রহিম বুধবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আগুন লাগার পর রাতে চাচাতো বোনের সঙ্গে তার টেলিফোনে কথা হয়েছিল। তখন তিনি বাঁচার আকুতি জানাচ্ছিলেন।

মৌলভীবাজারের কৈয়াছড়া গ্রামের ৯০ বছর বয়সী কমরু মিয়া বছর খানেক আগে সপরিবারে গ্রিনফেল টাওয়ারে উঠেছিলেন। তার বড় ছেলে আব্দুল হাকিম তার স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে এনফিল্ডে আলাদা বাসায় থাকেন। অন্য দুই ছেলে আব্দুল হামিদ, আব্দুল হানিফ ও মেয়ে তানিমা বাবা-মার সঙ্গে থাকেন।

তাদের কারও মোবাইল ফোনেই রাত আড়াইটার পর থেকে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে রহিম জানান। রহিম বলেন, ‘রাত সোয়া ১টার দিকে তানিমার ফোনে আগুন লাগার খবর পাই। গাড়ি নিয়ে ২০ মিনিটের মধ্যে যাই গ্রিনফেল টাওয়ারের সামনে, তখন সেখানে আগুন জ্বলছিল। হাকিমও ততক্ষণে চলে আসে।’

এরপর রাত আড়াইটা পর্যন্ত তানিমার সঙ্গে কথা বললেও তারপর থেকে তারসহ অন্যদের ফোন বন্ধ পাচ্ছেন তিনি। হাকিমকে নিয়ে সকাল ৮টা পর্যন্ত ভবনের সামনেই ছিলেন বলে জানান রহিম। পরে দুজনে বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নিয়েও স্বজনদের পাননি।

পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন জানিয়ে রহিম বলেন, তারাও এখনও কোনো খবর দিতে পারেনি। রহিম বলেন, ওই ভবনটিতে আরও দু-একটি বাঙালি পরিবার থাকেন বলে চাচার কাছে শুনেছিলেন। তবে কারও সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু তিনি জানেন না।

স্থানীয় সময় বুধবার সকালে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় লাটিমের রোডে ২৭তলা বিশিষ্ট ওই ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছয়জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া ভবন থেকে অর্ধ-শতাধিক মানুষকে আহত অবস্থায় উদ্ধারের পর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অনেকে ভবনে আটকে পড়েছেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।

বিএ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]