প্রবাসীরা জাতির অহংকার : রেলমন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৪:২৯ এএম, ১৮ মে ২০১৭

রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেছেন, যারা প্রবাসে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের উন্নয়নে সহযোগিতা করছেন, সেই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অনুষ্ঠানে আসতে পারে আমি গর্বিত। জাতীয় উন্নয়নে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা সম্মানিত ও জাতির অহংকার।

গত ১২ মে রাতে সৌদি আরবের জেদ্দায় হোটেল কেনেনা ইন্টারন্যাশনালের বলরুমে জেদ্দা প্রবাসী আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিয়ম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পবিত্র ওমরাহ হজ পালনে সৌদিতে আগত রেলমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে প্রবাসী আওয়ামী লীগের সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও রেলমন্ত্রীর স্ত্রী হনুফা আক্তার রিক্তা।

মন্ত্রী বলেন, ৩০ লাখ মানুষের জীবন ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে আমরা মহান স্বাধীনতা পেয়েছি। দেশকে মুক্ত করার জন্য রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।  তাদের কাছে জাতি ঋণী। আর জাতীয় উন্নয়নে রেমিট্যান্স যোদ্ধারা সম্মানিত ও জাতির অহংকার।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। পাকিস্তান আমলে আমরা পরাধীন ছিলাম। পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের ওপর শোষণ-নির্যাতন- অত্যাচার করতো। এই অত্যাচার-নিপীড়নের প্রতিবাদে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বাঙালিদের পক্ষে বঙ্গবন্ধু লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। এই সংগ্রাম করতে গিয়ে তিনি ১৩ বছর জেল খেটেছেন।

তিনি আরও বলেন, বিগত বিএনপির আমলে রেলপথের যেখানে ছোয়া লাগেনি সেখানে বর্তমান সরকার রেলপথ তৈরি, নতুন বগি, নতুন ইঞ্জিনসহ নতুন স্টেশন তৈরি করেছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। আগামী দুই/তিন মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে আশা করছি।

কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য ও প্রবাসী আওয়ামী নেতা ভিপি ফারুক আহমেদ নিয়াজীর সভাপতিত্বে ও ফ্রেন্ড অফ বাংলাদেশ জেদ্দার সহ সভাপতি মিজানুর রহমান ও কাশেম মজুমদারের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জেদ্দার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল নেতা মুক্তিযোদ্ধা কাশেম, মিজানুর রহমান শিপন, নোয়াখালী প্রবাসী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলী আক্কাস ও আবুল বাশার প্রমুখ।

এসআর/আরআইপি

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]