মালয়েশিয়ায় রেস্টুরেন্টে চাকরি : কড়া নজরদারিতে বিদেশিরা


প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, ০২ মে ২০১৭

মালয়েশিয়ার রেস্টুরেন্টে বিদেশিদের চাকরিতে কড়া নজর রাখছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। এ ক্ষেত্রে আইন অমান্য করলে নিয়োগকর্তাদের অবশ্যই কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে বলে সাবধান করে দেয়া হয়েছে৷

গত শুক্রবার কুয়ালালামপুরের প্যাভিলিয়ন মলের দক্ষিণ কোরিয়ান একটি রেস্টুরেন্ট থেকে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ স্থানীয় কর্মীসহ ২৯ জন বিদেশি শ্রমিককে গ্রেফতার করে। এ ঘটনার পর রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেন, এ সকল শ্রমিককে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে৷

এমন অভিযোগ উঠায় উদ্বেগ প্রকাশ করে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহাপরিচালক দাতুক সেরি মুস্তফার আলী এ মন্তব্য করেন৷ তিনি আরও জানান, আমাদের তদন্তে উদঘাটিত হয়েছে যে, বিদেশি কর্মীদের ফ্রন্টলাইনার যেমন, ক্যাশিয়ার, বিক্রয় সহকারী এবং ওয়েটার হিসেবে কাজ করানো হয়৷ এটি যে অনুমোদিত নয় তা নিয়োগকর্তারাও জানেন৷

সোমবার এক বিবৃতিতে মুস্তফার আলী বলেন, আমরা হতাশ হয়েছি এটি দেখে যে, নিয়োগকর্তারা এ সংক্রান্ত নিয়মকে তুচ্ছ করছেন। স্বস্পমেয়াদী লাভের জন্য তারা আইন লঙ্ঘনের সাহস দেখিয়েছেন। এ ধরনের মনোভাব দেশে অবৈধ অভিবাসীদের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷

গত শুক্রবার মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশন বিভাগ এক অভিযান চালিয়ে ২৮ বিদেশি রেস্টুরেন্ট কর্মীকে আটক করে, যার বেশিরভাগই বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের নাগরিক৷ বৈধ নথিপত্র না থাকায় অভিবাসন বিভাগের ৬(১) (সি) ধারার অধীনে তাদের আটক দেখানো হয়েছে৷

এদিকে স্থানীয় অন্য এক গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, ওই একই দিন প্যাভিলিয়ন মল থেকে মোট ২১১ কর্মীকে আটক করা হয়েছে৷ গ্রেফতারকৃত অন্য কর্মীরা মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল ও পাকিস্তানের নাগরিক৷

গ্রেফতারের পর কর্মচারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ সো্শ্যাল মিডিয়াতে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেয়। তাতে উল্লেখ করা হয়, রেস্টুরেন্ট থেকে আটক বিদেশি কর্মীদের রাস্তার পাশে বসানোসহ তাদের সঙ্গে অবৈধ ও অপরাধীদের মতো আচরণ করা হয়েছে।

মোস্তফার আরও বলেন সরকার নিয়োগকারীদের ই-কার্ড কার্যক্রমের মাধ্যমে বিদেশি কর্মী নিবন্ধনের সুযোগ দিয়েছে, যা গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে।চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত৷

তিনি বলেন, আমরা অপারেশন চালিয়ে যাব এবং আইন ভঙ্গকারী সব বিদেশি কর্মী বা নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এমএমজেড/ওআর/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]