পর্তুগালে বাংলাদেশি মিনি মার্কেট ব্যবসায়ীদের অান্দোলন


প্রকাশিত: ০৪:৪৮ এএম, ৩০ এপ্রিল ২০১৭

বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা চলাকালে ২০০৭-০৮ ইউরোজোনের বেশ কয়েকটি দেশ মন্দার কবলে পড়ে। বিশেষ করে পর্তুগালে অর্থনৈতিক মন্দায় ব্যাপক প্রভাব পড়ে। ওই সময়টাতে পর্তুগালের ধুঁকতে থাকা অর্থনীতিকে পুনর্জীবিত করতে ব্যাপক অবদান ছিল দেশটির অভিবাসী ক্ষুদে ব্যবসায়ীদের। যাদের মধ্যে বাংলাদেশের মিনি মার্কেটে ব্যবসায়ীদের অবদানও উল্লেখযোগ্য।

অর্থনৈতিক মন্দার মাঝেও ব্যাপক অর্থ বিনিয়োগ করে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। ফলে ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে থাকে। তবে দেশটির ধুঁকতে থাকা অর্থনীতির দুঃসময়ে অভিবাসী সম্প্রদায় এগিয়ে এসে উন্নয়নে সহায়তা করলেও ব্যবসায়ীদের প্রতি পর্তুগাল সদাচরণ বরাবরই ব্যর্থ।

উচ্চমাত্রায় ট্যাক্স (২৩ শতাংশ) অাদায় ছাড়াও নানা জটিল শর্ত দিয়ে ব্যবসায়ীদের হয়রানি পর্তুগালে নিত্যদিনের ঘটনা। এছাড়া বাংলাদেশি মিনি মার্কেট ব্যবসায়ীদের উপর নতুন করে আরও একটি অাইন প্রণয়ন করেছে পর্তুগালের লিসবন শহরের স্থানীয় সিটি কাউন্সিল। অাগে রাত ১২টা পর্যন্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারলে বর্তমানে তা কমিয়ে রাত ১০টা পর্যন্ত করা হয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। কারণ, মিনি মার্কেট ব্যবসায়ীদের দাবি, তাদের ব্যবসার মূল সময় রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত।

এদিকে গত কয়েক মাসে এ অাইন চালু থাকায় লিসবনের বেশিরভাগ বাংলাদেশি মিনি মার্কেট ব্যবসায়ীদের আয় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। অার তাই চুপ থাকতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। শ্রমিক দিবসে (১ মে) পূর্বের কর্ম ঘণ্টা ফিরিয়ে দিতে ব্যানার হাতে মানববন্ধন ও র্যালি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সকল মিনি মার্কেট ব্যবসায়ীকে ব্যানার-ফেস্টুন হাতে এদিন অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধও জানানো হয়েছে।

জানা গেছে, নিজেদের দাবি অাদায়ে ইতোমধ্যে একটি সংগঠন করেছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। Associacao hora conveniente Lisboa নামে গঠিত সংগঠনটির উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন পর্তুগালে বাংলাদেশের কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব রানা তাসলিম উদ্দিন।

সংগঠনের সভাপতি রেজাউল বাসিত ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ তালুকদার জানান, লিসবন সিটি কাউন্সিল (Camara Municipal) এর নতুন আইনে বাংলাদেশিসহ সকল মিনি মার্কেট ব্যবসায়ীদের ব্যবসা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এভাবে চলতে থাকলে তাদের পক্ষে ব্যবসা চালিয়ে নেয়া কঠিন হবে। অার তাই প্রায় ১০ হাজার লোকের জীবিকা নির্বাহের অন্যতম এ মাধ্যমকে বাঁচানোর জন্য আমারা দাবি জানাব।

কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করে আগের নিয়মে ব্যবসা করতে দিলে ব্যবসায়ীরা কিছু স্বস্তি পাবে বলেও জানান তারা।

আরএস/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]