গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি আদায়ে প্রবাসীদের কাজ করার আহ্বান


প্রকাশিত: ১১:৩৭ এএম, ১৮ এপ্রিল ২০১৭

২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের বিষয়ে কাজ করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন।

স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ‘মুজিবনগর দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বন জানান।

জাতিসংঘের মতো আন্তর্জাতিক ফোরামে মুজিবনগর দিবসের ঐতিহাসিক গুরুত্ব তুলে ধরার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আমাদের কর্মে ও চিন্তায় ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য ধারণ করতে হবে।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এই সরকার গঠনের ফলেই বিদেশি বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি সৃষ্টি হয়েছিল এবং পাকিস্তান ছেড়ে আসা বাংলাদেশের কূটনীতিকদের জাতিসংঘসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করা সহজ হয়েছিল।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদসহ এ সরকারের সংশ্লিষ্ট সবার স্মৃতির উদ্দেশ্যে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে দেয়া রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিশনের ইকোনমিক মিনিস্টার ইকবাল আব্দুল্লাহ্ হারুন।

অনুষ্ঠানে মিশনের ডিফেন্স অ্যাডভাইজর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আখতারুজ্জামান,  মিনিস্টার ফাইয়াজ মুর্শিদ কাজী, মিনিস্টার এটিএম রকিবুল হক, কাউন্সিলর সঞ্চিতা হক, ফার্স্ট সেক্রেটারি মো. হুমায়ুন কবীর ও ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) মো. নুর এলাহি মিনা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা শেষে জাতির পিতা, জাতীয় চারনেতাসহ মুজিবনগর সরকারের শহীদ ও মরহুম সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

জেপি/এমএমএ/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]