পাসপোর্টের মেয়াদ ১০ বছর করার দাবি কুয়েত প্রবাসীদের


প্রকাশিত: ১২:৩০ পিএম, ০১ মার্চ ২০১৭
ফাইল ছবি

পাসপোর্টের মেয়াদ ৫ বছরের পরির্বতে ১০ বছর করার দাবি জানিয়েছেন কুয়েত প্রবাসীরা। সম্প্রতি কুয়েতের মালিহা হোটেলে বক্তারা এসব দাবি তুলে ধরেন। কুয়েতের নতুন আইনে পাসপোর্টের মেয়াদ এক বছর থাকতে হবে, একদিন কম হলে আকামা বা ভিসা ইস্যু হচ্ছে না। পাসপোর্টের মেয়াদ পাঁচ বছর হওয়ায় কুয়েতের নতুন আইনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে কুয়েত প্রবাসীদের।

কিছু ক্লিনিং কোম্পানির শ্রমিকের এক বছর মেয়াদের ভিসা ইস্যু করা হয়। আবার প্রতিবছর এ ভোগান্তি থেকে বাঁচতে খাদেম ভিসা ও কিছু দোকান মার্কেটের শ্রমিকদের দুই-তিন বছরের একসঙ্গে আকামা নবায়ন করেন মালিকরা।

বর্তমানে পাসপোর্টে পাঁচ বছর মেয়াদ একটি বড় ধরনের ভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। কুয়েতে প্রবাসীরা বলেন, স্থানীয় আইনে পাসপোর্টের মেয়াদ এক বছরের নিচে হলে আকামা না লাগার কারণে অনেকের পাসপোর্ট দেড় থেকে দুই বছর বাতিল হচ্ছে। সময় মেলাতে গিয়ে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নতুন পাসপোর্ট বানাতে হচ্ছে।

কুয়েত প্রবাসীরা বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানান, তাড়াতাড়ি পাসপোর্টের মেয়াদ পাঁচ বছরের পরির্বতে যেন ১০ বছর করা হয়। এতে প্রবাসীরা একদিকে ভোগান্তি থেকে রেহাই পাবেন, অন্যদিকে আর্থিকভাবেও কিছুটা লাভবান হবেন।

যেখানে ৯ দশমিক ৫০০ কুয়েতি দিনার দিয়ে সাধারণ সময়ে পাসপোর্ট নিতে পারতেন কিন্তু এখন ৩০ দশমিক ২৫০ কুয়েতি দিনার ফি দিয়ে জরুরি সময়ের জন্য পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এছাড়া বাংলাদেশ দূতাবাসে একটি নতুন পাসপোর্টের জন্য জরুরি ভিত্তিতে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিতে চাইলেও এক মাসের আগে পাওয়া যায় না। এর কারণ বাংলাদেশ থেকে তৈরি হয়ে আসতে এই সময়ের প্রয়োজন হয়।

তবে ডেলিভারি সময় কমে আসায় পাসপোর্ট তাড়াতাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেছে বলে জানান দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। সঠিক সময়ে পাসপোর্ট হাতে না পেয়ে স্থানীয় আইনে আকামা শেষ হয়ে গেলে নবায়ন করতে না পেরে একদিকে জরিমানা দিচ্ছেন অনেক প্রবাসী।

বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত পাসপোর্ট ও ভিসার সচিব জহিরুল ইসলাম জানান, কিছুদিন আগে কুয়েতে কয়েকজন মন্ত্রী এসেছিলেন তাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। বর্তমান সরকার প্রবাসীদের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক।

এমআরএম/আরআইপি

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]