কুয়ালালামপুর বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ক্যাম্প পরিদর্শনে হাইকমিশনার


প্রকাশিত: ০২:০০ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মালয়েশিয়ায় নিয়োজিত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে কুয়ালালামপুর বুকিত জলিল ইমিগ্রেশন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে তিনি বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বন্দিদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।

এ সময় হাইকমিশনের ডিফেন্স প্রধান এয়ার কমোডর হুমায়ূন কবির, শ্রম শাখার কাউন্সিলর মো. সায়েদুল ইসলাম, শ্রম শাখার ২য় সচিব মো. ফরিদ আহমদ, সাংবাদিক আহমাদুল কবির এবং দূতাবাসের কল্যাণ সহকারী মো. মোকসেদ আহমদ সঙ্গে ছিলেন।

ক্যাম্প কমান্ডার চন্দ্রন হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান এবং হাইকমিশনার বন্দিদের নিয়ে মতবিনিময় করেন। ক্যাম্পের মুইজ ও আজিজ উপস্থিত ছিলেন। চন্দ্রন বলেন, বাংলাদেশি বন্দিরা অত্যন্ত ভালো। আমি হিন্দু, আমরা দেবতাকে যেভাবে সম্মান করি তারা সে ভাবেই আমাদের সম্মান করে। অন্যান্য দেশের বন্দিরা বিভিন্ন অপরাধে জেল খাটছে। কিন্তু বাংলাদেশি বন্দিরা শুধু অবৈধ বসবাস করায় তারা গ্রেফতার হয়ে জেল খাটছে এটাই তাদের অপরাধ।

হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম ক্যাম্পের প্রধান চন্দ্রকে বলেন, বাংলাদেশি বন্দিদের যেনো কোনো অসুবিধা না হয় । বন্দিদের দ্রুত দেশে পাঠানোও পরামর্শ দেন।

হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, দেশটির ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে মালয়েশিয়ান আইন-অনুযায়ী পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকা, পাসপোর্ট ও ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া এবং সাগর বা স্থল পথে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করে বিচার ও জেল শেষে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য রাখা হয় বুকিত জলিল ক্যাম্পে। এরপর হাইকমিশন থেকে অস্থায়ী ট্রাভেল পাশ ইস্যু করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এ ক্ষেত্রে নিজেকে বিমান ভাড়া বহন করতে হয়।

বুকিত জলিল ক্যাম্পে ২০০জন বাংলাদেশি দেশে ফেরতের অপেক্ষায় আছেন। তাদের জাতীয়তা নিরূপণ করে ট্রাভেল পাশ ইস্যু করা হচ্ছে বলে জানান কাউন্সিলার (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম।

ক্যাম্পে কয়েকজনের ট্রাভেল পাশের মেয়াদ শেষ হলেও দেশে ফেরত যেতে পারেনি। দেশে যোগাযোগও করতে পারেনি এবং মালয়েশিয়ায় তাদের কেউ বিমান ভাড়া দেয়নি তাই দেশে যেতে পারেনি।

বাংলাদেশ হাইকমিশন এ বিষয়ে কি পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম জানান, বন্দিশিবিরে যারা আটক আছেন তাদের দ্রুত দেশে পাঠানোর সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যাদের কেউ নেই অথবা টিকিটের ব্যবস্থা হচ্ছে না তাদের দূতাবাসের পাশাপাশি জনহিতৈশী কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতায় বিমান টিকিট দিয়ে তাদের দেশে পাঠানো হয়।

এমআরএম/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]