মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ২১শে ফেব্রুয়ারি পালিত


প্রকাশিত: ০৭:৩৩ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়েছে। কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৯ টায় রাষ্ট্রদূত মো. শহিদুল ইসলাম পতাকা উত্তোলন করেন। পরে ভাষা শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা ও তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

এরপর হাইকমিশনের অস্থায়ী স্মৃতিসৌধে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন বাংলাদেশ কমিউনিটি প্রেসক্লাব, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন, চাঁদপুর জেলা সমিতি, মামা সাংস্কৃতিক শিল্পী গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও কমিউনিটি সংগঠনসহ নানা পেশাজীবী প্রবাসী বাঙ্গালীরা।

Malayasia
এবারের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ইউনেস্কো (UNESCO) কর্তৃক গৃহীত প্রতিপাদ্য ‘Towards Sustainable Futures Through Multilingual Education’.

দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলার মো. সায়েদুল ইসলামের পরিচালনায় একুশের আলোচনার শুরুতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

সভাপতির বক্তব্যে রাষ্টদূত মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, একুশে ভাষার আন্দোলন হলেও প্রকৃত আন্দোলন হলো শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে বাঙালির সম্মিলিত প্রতিবাদ। সেদিন আত্ম-অধিকার, সমতাভিত্তিক সমাজ আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রবিনির্মাণের স্বপ্নে জেগে উঠেছিল তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ। একুশেতেই ঘটে বাঙালরি আত্মবিকাশ। যার ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পথ বেয়ে এসেছে মুক্তিযুদ্ধ।

Malayasia
তিনি বলেন, হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে এসেছে অমৃত স্বাধীনতা। একুশ বাঙালির চেতনার প্রতীক। মহান ভাষা শহীদদের স্মরণে সারা দেশে অগণিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং বিদেশে যেখানে বাঙালি আছে সেখানেই গড়ে উঠেছে আমাদের অহঙ্কারের প্রতীক শহীদ মিনার। একুশে তাই আত্মত্যাগের অহঙ্কারে ভাস্বর মহান একটি দিন। জেগে উঠার প্রেরণা। দেশমাতৃকার প্রয়োজনে আত্মোৎসর্গ করার শপথ গ্রহণের দিন আজ।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, পাসপোর্ট ও ভিসা শাখার প্রথম সচিব মশিউর রহমান তালুকদার, শ্রম শাখার প্রথম সচিব হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, ২য় সচিব তাহমিনা ইয়াছমিন, সুবহান মন্ডলসহ সামাজিক, রাজনৈতিক ও দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এমএমজেড/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]