কুয়েত আওয়ামী লীগের কাউন্সিল স্থগিত


প্রকাশিত: ০৩:৩৬ এএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

কুয়েতে গ্রুপিং মুক্ত আওয়ামী লীগ দেখার স্বপ্ন অনেকটা ভেঙে গেলো। মঙ্গলবার কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম কুয়েত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যকার দীর্ঘ দিনের কোন্দল ও গ্রুপিং সমাধানের লক্ষ্যে ঘোষিত কাউন্সিল পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজের ব্যর্থতার কথা প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুয়েত শাখা তিনটি ভাগে বিভক্ত, প্রথম গ্রুপের সভাপতি ফয়েজ কামাল, দ্বিতীয় গ্রুপের সভাপতি সাদেক হুসেন ও তৃতীয় গ্রুপের সভাপতি আবদুর রউফ মাওলা।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম রাজতন্ত্রের দেশ কুয়েত। এই দেশে রাজনীতি করা নিষিদ্ধ থাকলেও বাংলাদেশের প্রবাসীরা তাদের পছন্দের দলের দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অনেক সময় রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কারণে মারামারি ও গোলযোগ সৃষ্টি হয় এবং ভঙ্গ হয় স্থানীয় আইন আর প্রবাসে নষ্ট হচ্ছে বাংলাদেশের সুনাম ।

বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগের সব গ্রুপ একত্রিত হয়ে দুই মাসের মধ্যে কাউন্সিলের নতুন কমিটি হওয়ার কথা ছিল। আওয়ামী লীগ নেতারা কাউন্সিলে ২০০ জনের মধ্যে কাউন্সিলর করার দাবি করলেও এ নির্বাচন আহ্বায়ক কমিটি  ৪৮৫ জন কাউন্সিলরের একটি ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন।

এছাড়া এ কাউন্সিলে জামায়াত, বিএনপি ও নতুন প্রবাসীদের কাউন্সিলর করায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মধ্যে বির্তকের সৃষ্টি হয়।   এর আগে দুই গ্রুপে ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রদূত বরাবর কাউন্সিল বাতিলের লিখিত অভিযোগ দেন এবং নতুন করে কাউন্সিল করে দ্রুত নির্বাচন দেয়ার দাবি জানান তারা।
কাউন্সিলের নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে একত্রিত হতে পারেনি বিভক্ত আওয়ামী লীগের গ্রুপগুলো ফলে নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম হয়ে গেলেও কাউন্সিল দিতে ব্যর্থ হন।

রবিউল আলম রবিকে প্রধান করে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন কমিটি। মঙ্গলবার কুয়েত আওয়ামী লীগের তিন গ্রুপের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দদেরকে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত তলব করেছিলেন। এ সময় দূতাবাসে উপস্থিত ছিলেন শাহ নেওয়াজ নজরুল, আবদুর রউফ মাওলা, মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন, মোরশেদ আলম বাদল ও নজরুল ইসলাম।

উপস্থিত নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম বলেন, কুয়েত আওয়ামী লীগে একটি কাউন্সিল পরিচালনা করতে আমি অপারগতা প্রকাশ করছি। তবে কারণ হিসেবে আপনারা আমাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে পারবেন না।

আগামীতে কুয়েতে তিনি রাজনৈতিক যেকোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিতি থাকবেন না বলে জানান। সামাজিক কোনো অনুষ্ঠান হলে উপস্থিত থাকার চেষ্টা করবেন।

আবু সাদেক রিপন/এমআরএম/আরআইপি

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]