কুয়ালালামপুর বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন ক্যাম্প পরিদর্শনে হাইকমিশনার


প্রকাশিত: ০৭:৫৭ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০১৭

মালয়েশিয়ায় নিয়োজিত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন ক্যাম্প পরিদর্শন করে বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং তাদের খোঁজখবর নিয়েছেন।

এ সময় হাইকমিশনের কাউন্সিলর (শ্রম) সাইদুল ইসলাম, প্রথম সচিব (শ্রম) মো. হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল হাইকমিশনারের সঙ্গে ছিলেন। ক্যাম্প কমান্ডার থালাহাহ হাইকমিশনারকে স্বাগত জানান এবং হাই কশিনারের সঙ্গে বন্দিদের নিয়ে মতবিনিময় করান।

হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, দেশটির ইমিগ্রেশন ক্যাম্পে মালয়েশিয়ান আইন অনুযায়ী পাসপোর্ট ও ভিসা না থাকা, পাসপোর্ট ও ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া এবং সাগর বা স্থলপথে অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের পুলিশ গ্রেফতার করে বিচার ও জেল শেষে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য রেখে দেয়। এরপর হাইকমিশন থেকে অস্থায়ী ট্রাভেল পাশ ইস্যু করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এ ক্ষেত্রে নিজেকে বিমান ভাড়া বহন করতে হয়।

বিমানবন্দর ক্যাম্পে ১১৪ জন বাংলাদেশি দেশে ফেরতের অপেক্ষায় রয়েছেন। তাদের জাতীয়তা নিরূপণ করে ট্রাভেল পাশ ইস্যু করা হচ্ছে বলে জানালেন শ্রম শাখার প্রথম সচিব হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল।

সাজা খেটে দেশে ফেরা বাংলাদেশিদের অনেকে অভিযোগ করেছেন, ক্যাম্পগুলোতে প্রায়ই বাংলাদেশিদের ওপর নির্যাতন করা হয়। এমনকি কেউ কেউ ক্যাম্পেও মারা যান। অনেক সময় ঠিকমতো খাবার দেয়া হয় না। দীর্ঘদিন জেলে বা ক্যাম্পে থাকলেও হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তাদের দেশে ফেরত নেয়ার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি বলেও জানান তারা।

ক্যাম্পে কয়েকজনের ট্রাভেল পাশের মেয়াদ শেষ হলেও দেশে ফেরত যেতে পারেনি তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশে যোগাযোগ করতে পারেনি এবং মালয়েশিয়ায় তাদের কেউ বিমান ভাড়া দেয়নি তাই দেশে যেতে পারেনি।

বাংলাদেশ হাইকমিশন এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নিয়েছে জানতে চাইলে কাউন্সিলর (শ্রম) মো. সায়েদুল ইসলাম জানান, বন্দিশিবিরে যারা আটক রয়েছেন তাদের দ্রুত দেশে পাঠানোর সবরকম ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। যাদের কেউ নেই অথবা টিকিটের ব্যবস্থা হচ্ছে না তখন দূতাবাসের পাশাপাশি জনহিতৈশী কাজে নিয়োজিতদের সহযোগিতায় বিমান টিকিট দিয়ে তাদের দেশে পাঠানো হয়।

এরইমধ্যে দূতাবাসের শ্রম শাখার সচিবরা প্রত্যেকটি বন্দিশিবির পরিদর্শন করে বাংলাদেশিদের শনাক্ত করে পর্যায়ক্রমে তাদের দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছেন এবং দূতাবাসের শ্রম শাখার কর্মকর্তারা এখন থেকে নিয়মিত ক্যাম্প ভিজিট করা হবে বলে জানালেন শ্রম কাউন্সিলর।

বিএ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]