কুয়েতে বাংলাদেশের শীতকালীন সবজি


প্রকাশিত: ০৭:১৫ পিএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৭

শীত ও গ্রীষ্ম, এই দুই ঋতুর দেশ কুয়েত। বাংলাদেশের মতো এই মরুদেশেও শীতকালীন নানান শাক-সবজি চাষ হচ্ছে। কুয়েতে অনেক প্রবাসী বাঙালি আছেন যারা মরুভূমিতে, বাসার আশপাশে শীতকালীন শাক-সবজি চাষ করে থাকেন।

প্রবাসীদের উৎপাদিত এসব সবজি সুপার মার্কেটগুলোতে বিক্রি করার সুযোগ না থাকলেও কুয়েতে বাঙালিদের হাটখ্যাত হাসাবিয়ায় তাদের সবজি বিক্রি করে থাকেন।

প্রতিদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আবার শুক্রবার ও ছুটির দিনগুলোতে এই হাটে ব্যাপক লোক সমাগম হয়। এখানে শাক-সবজিসহ নিত্যপণ্যের দামও তুলনামূলক কম।

গত শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেলে হাসাবিয়া এলাকা পরিদর্শন করে দেখা গেছে, শাক-সবজির জমজমাট হাট বসেছে। এই বাজারে ৯০ ভাগ বিক্রেতা বাঙালি। দেশটির সালমিয়া, রওদা, হাওয়াল্লি, জাহারা, মুরগাবসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রবাসী বাঙালিরাসহ ভারতীয়, পাকিস্তানি, ইরানি, মিশরীয় নাগরিকরা এখানে বাজার করতে এসেছেন।

সালমিয়া থেকে আসা কালাম ও হাওয়াল্লি থেকে আসা দিদার জানান, প্রতি সপ্তাহে তারা এখানে আসেন এবং তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে বাজার-সদাই নিয়ে যান। প্রবাসী কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শাক-সবজি নিজে একস্থানে বসে বা অন্য সবজি বিক্রেতার কাছে নিয়ে বিক্রি করে থাকেন।

শীতকালীন সবজির মধ্যে রয়েছে দেশি শসা, মুলা, শিম, বাঁধাকপি ও ফুলকপি, টমেটো, কাঁচা মরিচ, হাইব্রিড শসা, লম্বা বেগুন, লাল শাক, মুলার শাক, কুমড়ার শাক, পালং শাক, করলা, বরবটি, গাজর, পেঁপে, দেশি আলু প্রভৃতি।

হাসাবিয়া বাজারের সবজি ব্যবসায়ী আনোয়ার ও সবুজ বলেন, সরকারি অনুমোদন না থাকায় পুলিশ, সিআইডি মাঝে মাঝে এসে মালপত্র নিয়ে যায় এবং নানাভাবে হয়রানি করে থাকে। তবুও জীবন জীবিকার তাগিদে ঝুঁকি নিয়ে একেকজন একেকভাবে ব্যবসায় করছে।

তারা বলেন, সরবরাহ বেশি থাকায় সব রকমের সবজি মোটামুটি কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহ আরও নতুন সবজি আসবে বাজারে। তখন সবজির দাম আরও কমবে। বর্তমানে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই ভালো বেচাকেনা করতে পারছেন।

বিএ

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]