পর্তোতে ইউরোপের ৪র্থ স্থায়ী শহীদ মিনার উদ্বোধন


প্রকাশিত: ০৫:২৩ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

পর্তুগালের প্রাচীন রাজধানী ও দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর পর্তোতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২০ ডিসেম্বর ইউরোপের ৪র্থ স্থায়ী শহীদ মিনারের উদ্বোধন ও বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।  

শহরের কেন্দ্রস্থলে বাংলাদেশি অধ্যুষিত রুয়া দ্যা সা সংলগ্ন পার্কে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টায় পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ ও পর্তো সিটি মেয়র ড. রুই মোরেরা শহীদ মিনার উদ্বোধন করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পর্তুগালের সাবেক মন্ত্রী ড. ম্যানুয়েল পিজারো, সংসদ সদস্য ড. ইডারডো সিলভা, ড. থিয়াগো বারবোচা রিবেইরো, ড. লুইচা সেগুইরো।

shahid

পর্তুগালে বাংলাদেশ দূতাবাস, পর্তো সিটি মিউনিসিপাল ও বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন পর্তোর অক্লান্ত পরিশ্রম ও অর্থায়নে অতি অল্প সময়ে নির্মিত হয়েছে পর্তুগালের দ্বিতীয় ও ইউরোপের ৪র্থ স্থায়ী শহীদ মিনার।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মহান বিজয় দিবস উদযাপন এবং অথিতিদের সম্মানে পর্তোর হোটেল ক্রাউন প্লাজায় ডিনার পার্টির আয়োজন করে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন পর্তো।

বাংলাদেশ ও পর্তুগালের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র জানান, পর্তোতে বসবাসরত কমিউনিটির মধ্যে বাংলাদেশিরা তার সর্বাধিক পছন্দের। যে কোন প্রয়োজনে তিনি বাংলাদেশ কমিউনিটির পাশে থাকবেন।

shahid

অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ পর্তো সিটি মেয়রসহ উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, লিসবনের পরে পর্তুগালের পর্তো সিটিতে দ্বিতীয় স্থায়ী শহীদ মিনারের উদ্বোধন করতে পেরে তিনি অত্যন্ত আনন্দিত।

সভাপতির বক্তব্যে শাহ আলম কাজল পর্তো সিটি মেয়র ও বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন পর্তোর পক্ষ থেকে সকলকে ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত পর্তুগিজ অথিতিবৃন্দকে ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে বরণ করে নেন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন পর্তো নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কমিউনিটি ইন পোর্তোর সাধারণ সম্পাদক মামুন হাজারি, জামসেদ হোসেন, হারুনুর রশিদ, আব্দুল আলীম, নাজির আহমেদ, শাহ জামাল আজাদ, মো. মোহাব্বত আলম টিপু, তৌহিদুল ইসলাম, মহিন আহমেদ, বেলাল হোসেন, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আনোয়ার হোসেন, লিটন আহমেদ, ফিরোজ আলম, রাকিব আহমেদ প্রমুখ।

এমএমজেড/পিআর

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]