বড়দিন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে মালয়েশিয়া

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ০৯:৫০ এএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
বড়দিন উপলক্ষে মালয়েশিয়ার বিপণিবিতানগুলোতে বর্ণিল সাজ

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ক্রিসমাস বা বড়দিনকে ঘিরে উৎসবমুখর ও বর্ণিল সাজে সেজেছে পুরো মালয়েশিয়া। আলোকসজ্জায় সজ্জিত হয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, বিপণিবিতান ও বাসাবাড়ি।

শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, বড়দিন উদযাপনে মালয়েশিয়ার বিপণিবিতানগুলো ক্রিসমাস ট্রি এবং এলইডি লাইট দিয়ে সাজানো হয়েছে। হাজার হাজার এলইডি লাইটের আলোতে ঝলমল করছে ক্রিসমাস ট্রি।

বড়দিন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে মালয়েশিয়া

২৫ ডিসেম্বর যিশু খ্রিস্টের জন্মদিনকে ঘিরে এভাবেই বড়দিনের উৎসবে মেতেছেন দেশটির খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।

বড়দিনকে ঘিরে এই আলোকসজ্জা দেখতে বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় করছেন স্থানীয় খ্রিস্টানধর্মালম্বীসহ বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা। বাংলাদেশের পর্যটকসহ প্রবাসী বাংলাদেশিরাও এই উৎসবের আয়োজন দেখতে ভিড় করছেন।

বড়দিন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে মালয়েশিয়া

আরও পড়ুন

এই বিশেষ দিনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন বিপণিবিতান বিভিন্ন পণ্যে ছাড় দিয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে সামাজিক আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে উপহার প্রদান, গির্জায় উপাসনা, পারিবারিক অনুষ্ঠান, সংগীত, বড়দিনের কার্ড বিনিময়, গৃহসজ্জা, ক্রিসমাস গাছ আলোকসজ্জা, যিশুর জন্মদৃশ্য এবং হলি সমন্বিত এক বিশেষ ধরনের সাজসজ্জার প্রদর্শনীর মাধ্যমে বড়দিন উদযাপন করা হয়। এছাড়া বড়দিন উপলক্ষে ছোটদের জন্য ফাদারের উপহার আনার রূপকথাটি বেশ জনপ্রিয়ভাবে প্রচলিত রয়েছে।

কোমলমতি শিশু-কিশোরদের কাছে সান্তা ক্লজ বড়দিনের অন্যতম আকর্ষণ। শিশু-কিশোরদের আনন্দে আনন্দিত হয় বড়রাও। সারা বছরের কর্মব্যস্ততায় একঘেয়েমি জীবন থেকে বের হয়ে এসে পরিবারের সঙ্গে মেতে ওঠে বড়দিনের আনন্দ-উৎসবে।

বড়দিন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে মালয়েশিয়া

এ বছর যিশুর কাছে প্রার্থনা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চলমান যুদ্ধ বন্ধের। পৃথিবী হোক হানাহানি মুক্ত বাসযোগ্য। ক্রিসমাস ডে বা বড়দিনের উৎসবগুলোতে একটি বয়স্ক লোককে উপহার হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যার মাথায় বিশেষ এক ধরনের টুপি, শরীরে লাল রঙের বিশেষ পোশাক আর মুখে সাদা দাড়ি থাকে। একে সান্তা ক্লজ বলা হয়। সান্তা ক্লজ মূলত খ্রিস্টধর্মের একটি বিশেষ চরিত্র। তাকে বড়দিনের চেতনার প্রতীক বলা হয়।

ইএ/এমএস

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]