মিশরীয়দের মাঝে ক্রিকেটকে পরিচয় করিয়ে দিল প্রবাসী শিক্ষার্থীরা

আফছার হোসাইন
আফছার হোসাইন আফছার হোসাইন মিশর-থেকে
প্রকাশিত: ০২:৩৯ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২৪

যে কয়টি দেশ এখনো ক্রিকেট খেলার সঙ্গে পরিচিত না তার মধ্যে একটি হলো বিশ্বের প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিশর। ফুটবল উন্মাদ দেশটির সাধারণ মানুষের কাছে এবার ক্রিকেটকে পরিচয় করিয়ে দিলো বিশ্ব বিখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ছাত্রাবাস স্টেডিয়ামে ফারাও ফুটবল কিংবদন্তি মোহাম্মদ সালাহ’র দেশটিতে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি ছাত্র আয়োজিত ‘বিএসপিএলর ফাইনাল ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে শক্তিশালী দুটি দল ‘চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স’ বনাম ‘রংপুর ওয়ারমোঙ্গারর্স’। খেলাটি শুরু হয় স্থানীয় সময় সকাল ৮টায়।

আজহারি ট্রাভেল এজেন্সির সার্বিক সহযোগিতায় ম্যাচটির শুরুতে টসে হেরে ব্যাট করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স সংগ্রহ করে ১২ ওভারে ১১৪ রান। চট্টগ্রাম হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন আহমাদ খান (৩৩) এবং নেওয়াজ শরীফ (২৫), জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে পাওয়ার প্লে-তে রংপুরের ব্যাটসম্যানরা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে কিন্তু ধীরে ধীরে চট্টগ্রাম ম্যাচটি তাদের দিকে ঝুঁকে যায়।

মিশরীয়দের মাঝে ক্রিকেটকে পরিচয় করিয়ে দিল প্রবাসী শিক্ষার্থীরা

টানটান উত্তেজনা ম্যাচটিতে শেষ ওভারে রংপুরের প্রয়োজন ছিল ২৫ রান এবং শেষ বলে ৬ রান, রংপুরের ব্যাটসম্যান তাওহিদুল ইসলামের ঝলকে শেষ বলে ছক্কা মেরে চ্যাম্পিয়ন হয় রংপুর এবং রানার্স আপ হয় চট্টগ্রাম।

টুর্নামেন্টটিতে: দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৭৫ রান এবং সর্বোচ্চ ১১ উইকেট নিয়ে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হয়: চট্টগ্রামের অলরাউন্ডার এবং ক্যাপ্টেন ‘নেওয়াজ শরীফ’।

মিশরীয়দের মাঝে ক্রিকেটকে পরিচয় করিয়ে দিল প্রবাসী শিক্ষার্থীরা

ফাইনাল ম্যাচটির দর্শকের গ্যালারিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মিশরে বাংলাদেশ স্টুডেন্টস অর্গানাইজেশন ‘ইত্তেহাদ’ ও তার অঙ্গ-সংগঠনের ছাত্র নেতাসহ আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী ও বিপুল পরিমাণ মিশরীয় দর্শক।

মিশরীয়দের মাঝে ক্রিকেটকে পরিচয় করিয়ে দিল প্রবাসী শিক্ষার্থীরা

খেলা শেষে বিজয়ী ও রানারআপ দলের ক্যাপ্টেনের হাতে ট্রফি তুলে দেন আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক ছাত্রাবাসের (মাদিনাতুল বুঊসুল ইসলামিয়া) ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক ব্যবস্থাপক আহমাদ সাঈদ খালিফা ও সাঈদ আলা।

এমআরএম/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]