মালয়েশিয়ায় কাজ করেও নেই বেতন, অনাহারে ৩৬ বাংলাদেশি

আহমাদুল কবির
আহমাদুল কবির আহমাদুল কবির , মালয়েশিয়া প্রতিনিধি মালয়েশিয়া
প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ২৭ মে ২০২৪

মালয়েশিয়ায় কাজ করেও বেতন দেওয়া হচ্ছে না। এতে অনাহারেই দিন কাটছে চলমান কলিং ভিসায় মালয়েশিয়ায় আসা ৩৬ বাংলাদেশি কর্মীর। বেতন চাইতে গেলে সময়ক্ষেপন করছে মালিক পক্ষ।

এ ৩৬ জন কর্মী ছাড়াও দেশটিতে যাওয়া বিভিন্ন কোম্পানীর কর্মীদের সঙ্গে একই ঘটনাই ঘটছে বলে বিভিন্ন সূত্রে
জানা গেছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা, ওভারটাইম, ছুটির দিনে তিনগুণ কাজ করেও বেতন পাচ্ছেন না তারা। বেতন পাওয়ার আশায় কেউ সাহস করে প্রতিবাদ করছেন আবার কেউ বা তা নীরবে সয়ে যাচ্ছেন।

জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৯ জুন স্বপ্নের দেশ মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান ৩৬ বাংলাদেশি কর্মী। মো. আব্দুল আউয়াল (৩৭), মাছুম (৩৪) সহ ৩৬ জন বাংলাদেশি কর্মী, দালাল মারফতে বাংলাদেশের গ্রীনলাইন ওভারসীজের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার জংথিয়ান এআরডিসি এসডিএন বিএইচডি কোম্পানিতে যান। রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিতজলিল এলাকায় কোম্পানির প্রজেক্টে কাজ করছেন তারা। প্রথমে কয়েকমাসের বেতন পেলেও ৫ মাসের বেতন পাননি এখনো। কোম্পানি মানছে না শ্রম আইন। গত ৫ মাসে ৩৬ জনের কেউই বাড়িতে পরিবারকে টাকা পাঠাতে পারেননি। এমনকি তাদের কাছে হাত খরচের টাকাও নেই। কর্মীরা বলছেন, চলতি বছরের ১৯ জুলাই ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যাবে।

মালয়েশিয়ায় কাজ করেও নেই বেতন, অনাহারে ৩৬ বাংলাদেশি

কোনো উপায় খুজেঁ না পেয়ে গত ২৪মে সকালে ৩৬ জন কর্মী মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ হাইকমিশনে কোম্পানির বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই দিনই মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসানের নির্দেশে তাৎক্ষণিক মালিক পক্ষকে ডেকে আনা হয়।

কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার লুহ সুই লিনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন প্রথম সচিব শ্রম এ এস এম জাহিদুর রহমান। দীর্ঘ আড়াই ঘণ্টার আলোচনায় কোম্পানি পক্ষ ৩৬ জন কর্মীর বকেয়া বেতন আগামী জুন ও জুলাই মাসে পরিশোধ করবে বলে আশ্বাস দেয়।

আলোচনার পর প্রথম সচিব শ্রম এ এস এম জাহিদুর রহমান জানান, কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। জুন এবং জুলাই মাসে তারা ৩৬ জন কর্মীর বকেয়া বেতন পরিশোধ করবে।

এসআইটি/জেআইএম

প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা - [email protected]